ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

দাফনের দেড় ঘণ্টা পর রাস্তায় মিলল শিশুটির লাশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:২৩ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৩:২৫ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার

দাফনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুর মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ফেলা হয়েছে। রেখে দেয়া হয়েছে রাস্তায়। তাও আবার মাইকিং করে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামে। আহমদীয়া সম্প্রদায়ের এই শিশুটিকে গত বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকালে উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের কবরস্থান থেকে তুলে ফেলা হয়।

জানা গেছে, গত ৭ জুলাই ফেনী শহরের খ্রীস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন সদর উপজেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না বেগম। স্বপ্নার বাবার বাড়ি ঘাটুরা গ্রামে। কয়েক মাস ধরে তিনি বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। নির্ধারিত সময়ের আগে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিশুটিকে হাসপাতালে ইনকিউবেটরে রাখা হয়। তবে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় শিশুটি মারা যায়। ধর্মীয় রীতি মেনে সকাল ৭টায় শিশুটির মরদেহ ঘাটুরা এলাকার একটি সরকারি কবরস্থানে দাফন করা হয়।  

কিন্তু শিশুর পরিবারের সদস্যরা আহমদীয়া সম্প্রদায়ের হওয়ায় দাফনের ঘণ্টা দেড়েক পর মাইকিং করে মরদেহ কবর থেকে তোলার জন্য লোকজন জড়ো করে আহমদীয়া বিরোধী পক্ষ। এরপর মরদেহ কবর থেকে তুলে কবরস্থানের বাইরের সড়কে ফেলে রেখে যায়। তবে কারা এ কাণ্ডের সাথে জড়িত তা জানা যায়নি।

শিশুটির বাবা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মাইকিং করে আহমদীয়া সম্প্রদায় বিদ্বেষীদের জড়ো করা হয়। এরপর মরদেহ কবর থেকে তুলে কবরস্থানের সীমানা প্রাচীরের বাইরের রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি আমরাও জানি না। পরবর্তীতে পুলিশ পাহারায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় আমাদের সম্প্রদায়ের নিজস্ব কবরস্থানে নিয়ে মরদেহ দাফন করা হয়। 

সুহিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ হাজারী আঙ্গুর বলেন, গ্রামের বাসিন্দারা বাঁধা দিয়েছে, আমার কিছুই করার ছিল না। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিলো। দুই পক্ষ বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছে।

এনএস/