ডা. সাবরিনার গ্রেপ্তার নিয়ে যা বলল পুলিশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৩৩ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৬:২৫ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে করোনা পরীক্ষা নিয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণার ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর তাকে তেজগাঁও থানায় নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি সেগুলোর সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাকে তেজগাঁও থানায় দায়ের করা জেকেজির প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার তদন্তের জন্য তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।
বিভিন্ন মাধ্যমে সাবরিনাকে জেকেজি চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দেওয়া হলেও তিনি দাবি করেছেন, এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি শুধু জেকেজিকে কোভিড-১৯ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
করোনাভাইরাস পরীক্ষায় টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়া ও প্রতারণার অভিযোগে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডা. সাবরিনা তারই স্ত্রী।
এর আগে গত ৪ জুন স্বামী আরিফুলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে সাবরিনা তেজগাঁও বিভাগের একটি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরির জন্য আরিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে, জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনার আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মিলেছে। আরিফ চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, জেকেজির ৭-৮ কর্মী ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেন।
আরকে/এনএস/