ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে ভোটারদের সমীকরণ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৮ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৯:২২ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার

যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন আগামী ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। করোনার কারণে আগের মতো মিছিল মিটিং না থাকলেও নানা কৌশলে প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় কারার চেষ্টা করছেন। ভার্চ্যুয়াল মিটিং, স্যোশাল মিডিয়াকে এখন প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। আবার লিপলেট নিয়েও মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

ভোটারদের অনেকেই জানান তারা অভিভাবক পেতে যাচ্ছেন, এতে তারা উচ্ছ্বসিত, আবার অনেকে তো প্রার্থী পছন্দ করেই রেখেছেন শুধু ভোটের দিনের অপেক্ষায় আছেন। এলাকার সাধারণ জনগন আশা করছেন এই নির্বাচন সর্বোচ্চ ভোটারের উপস্থিতিতে নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

এ আসনের উপনির্বাচনে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার নৌকা প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকরা করোনার প্রভাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেও আওয়ামী লীগের এ প্রার্থী বলছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে ভোটারদের বড় একটি অংশ কেন্দ্রে আসবেন। আশা করি সুন্দর একটি নির্বাচন হবে। এলাকার উন্নয়নের জন্য ভোটাররা আমাকে ভোট দেবেন। সামাজিক দুরত্ব মেনেই তৃণমূলে কাজ করে যাচ্ছি। 

অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ বিএনপির দলীয় প্রার্থী হলেও দলটি উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জানান, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই কমিশনের কাছে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। কমিশন নির্বাচন না পেছালে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। নির্বাচন না পেছালে ব্যালট পেপারে আমাদের প্রার্থীর প্রতীক না রাখার জন্যও ইসি সচিবকে বলেছি।

এছাড়া জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী হয়েছেন। এ উপনির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী আগে থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট যুদ্ধে নেমে পড়েন। শেষ মুহুর্তে এসে বিএনপি প্রার্থী সরে দাঁড়ালেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট বলে জানান।

করোনার এ সময়ে ভোট নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।কোন ব্যক্তি বা দলকে সুবিধা দিতে নয়। নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন পেছানোর আইনগত কোন সুযোগ নেই। তবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিষয়টি সুপ্রীম কোর্টে নিতে পারেন। আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তিনিও বলেছেন নির্বাচন না করার কোন সুযোগ নেই। 

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধ হোক, ঝড় হোক, ভূমিকম্প হোক সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যশোরের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ২ হাজার ১২২ জন আর মহিলা ভোটার ১ লাখ ৮৯৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৭৯টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ৩৭৪টি।

উল্লেখ্য, যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এমপি গত ২১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করায় জাতীয় সংসদে ২৮ জানুয়ারি আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় থেকে এ আসনে উপনির্বাচনের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করা হয়।

 

এসইউএ/এসি