ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রাতে থানা হাজতে থাকতে হচ্ছে ডা. সাবরিনাকে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৭ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার | আপডেট: ১০:২৮ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার

করোনাভাইরাস পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অনুমতি বাতিল হওয়া জেকেজি হেলথকেয়ারের ‘চেয়ারম্যান’ ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী নামে পরিচিত ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে রাতে তেজগাঁও থানার হাজতখানায় রাখা হয়েছে। আজ রবিবার বিকেলে ডিএমপির তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের (ডিসি) কার্যালয় থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁকে থানায় এনে থানাহাজতে রাখা হয়। বর্তমানে ডা. সাবরিনা থানাহাজতে আছেন। সোমবার রিমান্ডের জন্য আবেদন করে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিল দুপুরে। কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও তাঁকে বরখাস্ত করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন চাকরিতে থেকেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট প্রদান ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে আজ ১২ জুলাই পুলিশের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সরকারের অনুমতি ছাড়াই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত থাকা এবং অর্থ আত্মসাৎ সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনকে সরকারি কর্মচারী বিধিমালার বিধি ১২(১) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষভাতা প্রাপ্ত হবেন।  এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আরকে//