নায়িকা হতে চেয়েছিলেন ডা. সাবরিনা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩১ পিএম, ১২ জুলাই ২০২০ রবিবার
অভিনয়ের প্রতি টান ছিল আলোচিত কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর। তিনি চেয়েছিলেন নায়িকা হতে। কিন্তু পারিবারিক বাধার কারণে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি।
চার বছর আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবরিনা বলেন, নায়িকা হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাবার কড়া শাসনের কারণে আর সেটি হয়ে ওঠেনি। নায়িকা হওয়ার জন্য প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। লুকিয়ে অভিনয়ের রিহার্সালে যেতাম। তবে যেদিন ফাইনাল শুটিং হবে সেদিন বাবা বুঝে গেলেন সব কিছু। আমার আর অভিনয় করা হলো না।
অভিনয় দিয়ে পর্দা কাঁপানোর ইচ্ছে থাকলেও সাবরিনা এখন করোনা টেস্ট জালিয়াতিতে আটক হয়ে দেশ কাঁপাচ্ছেন। মানুষের মুখে মুখে এখন তার নাম। সাবরিনা ডাক্তারি পেশায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে যান।এবং নিজের পরিচিতির গন্ডি বাড়িয়ে নেন। স্বল্প সময়ে এই সুন্দরী মানুষের মনও জয় করে নেন।
তিনি বলেন, ডাক্তারি পেশায় চাকরি পাওয়ার পর প্রথম পোস্টিং হয় দিনাজপুরের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সেখানে আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি ছিল না। কাটাকাটি করার মতো কিছুই ছিল না। কোনো রকমে কিছু ওষুধ আসত। সেখানে থেকে আমার মনে হয়েছে যদি এই জায়গাগুলো উন্নত করা যায়, তাহলে অনেক চিকিৎসক গিয়ে কাজ করত। তবে নেই বলেই কাজ করার সুযোগ সেসব জায়গায় কম। এরপর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে বদলি হই। এখন কাজ করছি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে।
নারী কার্ডিয়াক হিসেবে সাবরিনা বলেন, সারা বিশ্বেই নারী কার্ডিয়াক সার্জনের সংখ্যা কম। যেখানেই গিয়েছি, অনেক সমাদর পেয়েছি। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে নারী কার্ডিয়াক সার্জন রয়েছে- এটি ভেবে অনেকেই খুব অবাক হয়েছেন।
নায়িকা হওয়ার আকাঙ্খা নিয়ে চিত্র জগতে পা রাখতে চেয়েছিলেন সাবরিনা। নিজের সে স্বপ্ন পূরণ না হলেও মা বাবার ইচ্ছায় হয়েছেন ডাক্তার। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে ছিলেন কর্মরত। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট প্রদান ও অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বলে আজ ১২ জুলাই পুলিশের হাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার।
এসি