ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

মাস্ক পরতে বলায় প্রাণ গেল তরুণীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৫ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০২:৫৬ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ সোমবার

মহামারি করোনাভাইরাসের গ্রাসে পুরো পৃথিবী। যেখানে এই ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে, অর্থনীতি ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে, চাকরিচ্যুত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এর মধ্যেও ছোটখাটো বিষয় নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলছে অনেকে। এমনই একটি ঘটনায় প্রাণ দিতে হয়েছে এক তরুণীকে।

ঘটনাটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের। মাস্ক না পরা নিয়ে দেশটির অন্ধ্রপ্রদেশে দু'পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে। এই ঘটনায় বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।

রাস্তায় বের হওয়া একদল যুবকের মুখে মাস্ক ছিল না। কোভিড পরিস্থিতিতে ‘মুখে মাস্ক নেই কেন?’ ওই যুবকদের প্রশ্ন করেছিলেন ক্রান্তি ইয়ালামান্ডালা। প্রশ্নের ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে, তা দুঃস্বপ্নেও আন্দাজ করতে পারেননি তিনি। 

গত ৩ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর জেলায় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। ব্যক্তিগত কাজে ক্রান্তি ইয়ালামান্ডালা ওই যুবকদের পাড়ায় গিয়েছিলেন। তখন তাঁর মুখে কোনও মাস্ক ছিল না। ওই যুবকরা এই নিয়ে প্রশ্ন করতেই দুই পক্ষে তর্ক শুরু হয়ে যায়। তখনকার মতো পরিস্থিতি শান্ত হলেও, বিবাদ পুরোপুরি মেটেনি। 

এরপর ওই দিনই সেই যুবকদেরই মাস্ক ছাড়া দেখতে পান ক্রান্তির এক আত্মীয়। এবার ক্রান্তি তাদের ‘মুখে কেন মাস্ক নেই’ এই প্রশ্ন তুলে রীতিমতো জেরা শুরু করেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এই হাতাহাতি ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নেয়।

তখন বাবাকে বাঁচাতে ছুটে আসেন ক্রান্তির মেয়ে ফতিমা। বাবাকে লাঠি দিয়ে মারতে এলে রুখে দাঁড়ান তার মেয়ে। কিন্তু মেয়ের প্রতিরোধে যুবকরা থেমে যায়নি। এক যুবক লাঠি দিয়ে আঘাত করে ফাতিমার মাথায়। আঘাত গুরুতর হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে ফাতিমাকে গুন্টুরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই হাসপাতালেই ফাতিমার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো যায়নি। শনিবার (১১ জুলাই) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আক্রান্ত মেয়েটি।

এরপরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। এ পর্যন্ত ৪ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে থানায়। 

সূত্র: এই সময়

এএইচ/এমবি