ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

উত্তরাঞ্চলসহ বন্যার ব্যাপক অবনিত, পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৩ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৩:০৫ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ সোমবার

দেশের উত্তরাঞ্চলে দ্বিতীয় দফা বন্যার ব্যাপক অবনতি হয়েছে। তিস্তা, ধরলা ও সুরমামহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এতে নিম্ন চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। এসব এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছেন বানভাসিরা। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উজানের পাহাড়ি ঢল আর ভারি বর্ষণে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার নদ-নদীর পানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দ্বিতীয় দফা বন্যায় এরিই মধ্যে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো- খাদ্যের সংকট। 

এদিকে একইভাবে তিস্তা ও ধরলার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অবনতি হয়েছে লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক চর, দ্বীপচর ও নদী তীরবর্তী গ্রামের ৮০ হাজার বেশি মানুষ। এদিকে, তিস্তা ব্যারেজে রেড এ্যালার্ট জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বন্যা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে গাইবান্ধায়ও। ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে চার উপজেলার চরাঞ্চলের ৪০টি গ্রামের অন্তত ৬০ হাজার ঘরবাড়ি। দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে বলে স্থানীয় আবহাওয়া সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে। 

অন্যদিকে, পাহাড়ি ঢলে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর বাঁধের ৮টি পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সাহাপাড়া এলাকা ও দৌলতপুর এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙ্গে ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

বন্যার আবারও অবনতি হয়েছে সুনামগঞ্জে। পৌর শহরের ৯০ ভাগ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। ১১ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ৯টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। খোলা হয়েছে ২৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। 

এআই//এমবি