ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বেনাপোল কাস্টমের ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:৫২ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ সোমবার

প্রায় ৩০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকিতে সহযোগিতার মাধ্যমে আমদানি পণ্য চালান খালাস দেওয়ার অভিযোগে বেনাপোল কাস্টম হাউজের তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকির সহায়তায় দুই সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করা হয়েছে। 

আজ সোমবার তাদের বরখাস্ত ও লাইসেন্স বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম। বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অবিহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

বরখাস্ত কাস্টম কর্মকর্তারা হলেন, বেনাপোল কাস্টম হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ ও ইবনে নোমান। বাতিলকৃত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হলো, বেনাপোলের মদিনা এন্টারপ্রাইজ ও মাহিবি এন্টারপ্রাইজ।

কাস্টম সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আলহামদুলিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ ভারত থেকে ৬৬৫ প্যাকেজ মোটরপার্টসসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে (যার কাস্টমস বি/ই নম্বর-১৪৮২৭)। চালানটি আমদানি হওয়ার পর কাস্টম কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে চালানে বড় ধরনের অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকি রয়েছে। 

কিন্ত সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট কৌশলে একজন রাজস্ব কর্মকর্তা ও দুইজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পণ্য চালানটি গোপনে খালাস করেন।

এক পর্যায়ে অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম টের পেয়ে চালানটির ৪ ট্রাক পণ্য আটকের নির্দেশ দেন। কিন্তু তার নির্দেশনা উপেক্ষা করে ৩ রাজস্ব কর্মকর্তার সহযোগিতায় ট্রাকগুলো ছেড়ে দেয়া হয়। ফলে সরকারের প্রায় ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়।

পরবর্তীতে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় ওই তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। সেই সাথে রাজস্ব ফাঁকির মূলহোতা সিএন্ডএফ এজেন্ট মদিনা এন্টারপ্রাইজ ও তার সহযোগী মাহিবি এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়। 

উল্লেখ্য, বেনাপোল কাস্টমস হাউজে রাজস্ব ফাঁকিসহ বিভিন্ন অনিয়ম বেড়ে যাওয়ায় তিন বছর ধরে এখান থেকে সরকারের বিপুল পরিমাণে রাজস্ব ঘাটতি হচ্ছে। সর্বশেষ গেল ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রাজস্ব ঘাটতি হয় ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ২২ লাখ টাকা। 

এআই/এমবি