ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

‘পথিক টিভি’র কার্যালয়ে পুলিশী অভিযান, কম্পিউটার জব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৪:৫৪ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ সোমবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় কথিত ফেসবুকভিত্তিক চ্যানেল ‘পথিক টিভি’র কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার জব্দ করেছে পুলিশ। রোববার (১২ জুলাই) রাতে শহরের টিএ রোডস্থ জমিলা ম্যানশনের তৃতীয় তলায় ওই টিভির কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্যসহ একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানিকর ভিডিও প্রচার ও আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে গত ৭ জুলাই পথিক টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিটন হোসাইন ওরফে জিহাদ ও তার ছোট ভাই চীফ ভিডিও এডিটর আরজে সাখাওয়াতের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী।

মামলার এজাহার সূত্রে থেকে জানা গেছে, মামলার আসামিরা লিটন হোসাইন ও তার ছোট ভাই আরজে সাখাওয়াত নামমাত্র সাংবাদিক। সাংবাদিকতার পরিচয়ে প্রতারণা করা তাদের নেশা ও পেশা। গত ১৬ জুন লিটন তার ফেসবুকে লেখেন, “পথিক টিভির সমালোচনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সেই সকল সদস্যদের প্রতি আমার ঘৃণা। তাদের জন্ম পরিচয় নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তাই সমালোচনাকারীদের
জন্মের ইতিহাস নিয়ে তৈরি করা পথিক টিভির সেই দুটি ভিডিও দেখতে পারেন। কমেন্ট বক্সে লিঙ্ক দেওয়া আছে”। 

একই দিন দুপুরে লিটন আবার তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, “লোকগুলোকে চিনে থাকলে নিচে কমেন্ট করুন। আপনি তথ্য দিন। পথিক টিভিকে কেন্দ্র করে যারা বাজে মন্তব্য দিচ্ছেন, তাদের জীবন আচার নিয়ে আগামীকাল লাইভে আসবো। রোমাঞ্চকর স্টোরি শুনাবো সবাইকে”। এছাড়াও আরো অনেক আপত্তিকর কথাবার্তা লেখা হয়েছে।

এদিকে, গত ১৭ জুন মামলার দুই নম্বর আসামি লিটনের ছোট ভাই আরজে সাখাওয়াত লিটনের প্ররোচনা ও সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্যদের উদ্যেশ্য করে পথিক টিভির ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। যেখানে বলা হয়, ‘সাংবাদিক লেবাসধারীরা পথিক টিভির কার্যালয় ঝাড়ু দিতো। তারা এই শহরের নর্দমা বা বস্তি থেকে উঠে আসা কিছু মানুষ।’

এ ব্যাপারে মামলার বাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বলেন, আমরা সবসময় অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। সঠিক সাংবাদিকতাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কথিত ওই অনলাইন টিভির নামধারী দুই সাংবাদিক খুবই আপত্তিকর বক্তব্য ও মন্তব্য করেছেন। আর তারা মূল ধারার সাংবাদিকও না। 

তিনি বলেন, প্রেসক্লাব একটি স্বীকৃত ও প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। এই প্রেসক্লাবের সাথে যুক্ত দেশের জাতীয় দৈনিকের গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে এমন আপত্তিকর মন্তব্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ফেসবুকে অনলাইন টিভি খুলে যা ইচ্ছে করার লাইসেন্স তাদের কে দিয়েছে?

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, রোববার রাতে ওই টিভির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।

এনএস/