নওগাঁয় করোনায় মারা গেলেন উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১৭ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৫:৩০ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২০ সোমবার
নওগাঁর করোনা শনাক্তের ৪ দিনের মাথায় মারা গেলেন পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুস সাত্তার (৫৭)। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি। মৃত. আব্দুস সাত্তার উপজেলার গোড়হাড়িয়া গ্রামের মহীর উদ্দীনের ছেলে। তিনি নজিপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বসবাস করতেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আব্দুস সাত্তার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমটিইপিআই পদে কর্মরত ছিলেন। আব্দুস সাত্তারের করোনাভাইসের নানা উপসর্গ থাকায় গত ৪ জুলাই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গত ৯ জুলাই নমুনা পরীক্ষায় তিনি করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।
এ অবস্থায় তাকে বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সোমবার দুপুরে দিকে হঠাৎ করেই আব্দুস সাত্তারের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং বিকেল ৩টার দিতে তিনি মারা যান। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তার লাশ দাফন-কাফনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আরও ২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের একজন মহাদেবপুর উপজেলার এবং অপরজন ধামইরহাট উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৭৬ জনে।
এছাড়া এসময়ে জেলায় মোট ১৬৩ জনকে হোম কোয়ারেনটাইনে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৯ জন, রানীনগর উপজেলায় ৩ জন, আত্রাই উপজেলায় ৫ জন, মহাদেবপুর উপজেলায় ৮ জন, মান্দা উপজেলায় ৮ জন, বদলগাছি উপজেলায় ৭ জন, পত্নীতলা উপজেলায় ২৫ জন, ধামইরহাট উপজেলায় ১২জন, সাপাহার উপজেলায় ৩১ জন এবং পোরশা উপজেলায় ৩৫ জন।
এসময় কোয়ারেনটাইন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২২৪ জনকে। বর্তমানে কোয়ানেটাইনে রয়েছেন ১৫৪৯ জন। এসময় সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। সর্বমোট সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪৯৫ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছে ১১ জন।
কেআই/