ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

থানায় সাবরিনার রাত কাটল যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১১ এএম, ১৪ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:১৯ এএম, ১৪ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের রেজিস্ট্রার চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে রোববার থানায় ডেকে নিয়ে গ্রেফতারের পর একের পর এক উঠে আসে প্রতারণার চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। বিলাসী জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ডা. সাবরিনার প্রথম রাতটি কাটাতে হয় তেজগাঁও থানায়। এ সময় বিমর্ষ চেহারায় বারবার নিজেকে নির্দোষ বলার চেষ্টা করেন সাবরিনা। এ দিন তার জন্য থানায় রাতের খাবারের মেন্যুতে ছিল ভাত, সবজি, ডাল ও মাছ।

তেজগাঁও থানা সূত্রে জানা গেছে, ডা. সাবরিনাকে রাতে তিনজন নারী কনস্টেবল নির্ঘুম পাহারা দিয়েছেন। তাকে যেখানে রাখা হয়েছে ওই কক্ষের আশপাশে বিকাল থেকে কাউকে যেতে দেয়া হয়নি। এমনকি বিকাল থেকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া থানায় বহিরাগত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। 

তিনি পুলিশের মেসের খাবারই খেয়েছেন। রাতের খাবারের মেন্যুতে ছিল ভাত, সবজি, ডাল ও মাছ। সকালের নাস্তায় ছিল ভাত আলু ভর্তা, ডিম ও ডাল। গতকালও তাকে থানা পুলিশের মেসের খাবার দেয়া হয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ থেকে শুরু করে পরের দিন আদালতে হাজিরা পর্যন্ত সাবরিনা পরিবারের কোনো সদস্য তার কাছে আসেননি। কেউ খোঁজও নেয়নি এবং খাবার-কাপড় আসেনি। শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক এসেছিল তাকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। রোববার ডিসি কার্যালয়ে তিনি যে কাপড়ে এসেছিলেন আদালতে তিনি একই কাপড়ে যান।

এর আগে থানায় তাকে তেজগাঁও ডিভিশনের উপ-কমিশনার (ডিসি) কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আসা হলে তিনি যখন বুঝতে পারেন তাকে গ্রেফতার করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং কান্নাকাটি শুরু করে দেন। জেকেজি বা টেস্ট প্রতারণার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন। পরে তাকে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে আসা হয় তেজগাঁও থানায়। সেখানে আগে থেকেই নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কের কক্ষটি তার জন্য বরাদ্দ করা হয়। ওই কক্ষের একটি ছোট বিছানায় তিনি রাতে ঘুমিয়েছেন।

এদিকে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ডা. সাবরিনা আরিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এসি