সংক্রমণ ঠেকাতে অনেক দেশ ভুল পথে হাটছে: ডব্লিউএইচও
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৩৩ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অনেক দেশ ভুল পথে এগোচ্ছে বলে মনে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউেএইচও। করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের আরও বেশি আন্তরিক হবার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ জুলাই) জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদরদপ্তরে আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
তিনি বলেন, ‘করোনার বিস্তার ঠেকাতে সরকারগুলো যদি সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
তার মতে, ‘যেসব দেশে ঝুঁকি কমানোর বিষয়ে যথাযথ সতর্কতা নেয়া হয়নি, সেই দেশগুলোতে ভয়াবহভাবে সংক্রমণ বাড়ছে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘নেতাদের মিশ্র মন্তব্যের কারণে মহামারি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ থেকে জনগণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।’
বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডমিটারের তথ্যমতে, উৎপত্তির সাড়ে ছয় মাসে ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত বিশ্বের পৌনে ৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ ঝরেছে ৩ হাজার ৭৩১ জনের। আক্রান্ত ১ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
যার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রাদুর্ভাবের গোড়ার দিকে করোনাকে পাত্তা না দেওয়ায় দ্রুত বিপর্যয় নেমে আসে দেশটিতে। যার শিকার ৩৪ লাখ ৭৯ হাজার আমেরিকান। এর মধ্যে ভাইরাসটির থাবায় পৃথিবী ছেড়েছেন দেশটির ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৪৭ জন নাগরিক।
ট্রাম্পের পথেই হাটেন ব্রাজিল সরকারও। ফলে, একই ফল ভোগ করতে হচ্ছে দেশটির জনগণকে। যার শিকার এখন পর্যন্ত ১৮ লাখ ৮৮ হাজার মানুষ। যা থেকে রেহাই পাননি স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোও। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ৭৩ হাজার ব্রাজিলিয়ানের।
অন্যদিকে, চীনের পরে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সে শুরুর দিকে ভয়াবহ রূপ নিলেও বর্তমানে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে । তবে, মৃত্যুপুরী আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর পথে হাটছে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত। যেখানে এখন পর্যন্ত ৯ লাখের বেশি মানুষ করোনা বহন করছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার ভারতীয়র।
এআই//এমবি