ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৩০২০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১২ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:১৪ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে তিন হাজার ২০ কোটি ছয় লাখ ৮৫ হাজার টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। কৃষি যান্ত্রিকীকরণসহ আট প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১০ হাজার ১০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পটির উদ্যোগী মন্ত্রণালয় কৃষি মন্ত্রণালয় আর বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। এ প্রকল্পের সব টাকাই সরকারে নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্না বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণের বিকল্প নেই। আমাদের এগিয়ে যেতে হলে কৃষিকে আধুনিক করতে হবে। উৎপাদন খরচ কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের জন্য সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। দেশের ৬৪ জেলার সবগুলো উপজেলায় এটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।’

কৃষিতে ব্যয় কমিয়ে উৎপাদন বাড়াতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। প্রকল্পটির আওতায় আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির সরবরাহ ও ব্যবহার বৃদ্ধি করে ফসলের অপচয় রোধ, চাষাবাদে সময় এবং অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে কৃষিকে ব্যবসায়িকভাবে অধিক লাভজনক ও বাণিজ্যিকভাবে টেকসই করে ফসল উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব বলে প্রকল্প সূত্র জানা গেছে।

চলতি মাস (জুলাই) থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও ব্যবহার বাড়িয়ে ফসলের ১০-১৫ শতাংশ অপচয় রোধ করা যাবে। এছাড়া চাষাবাদে ৫০ শতাংশ সময় এবং ২০ শতাংশ অর্থ সাশ্রয় করা যাবে। পাশাপাশি সমন্বিত সবজি জাতীয় ফসল আবাদ করে কৃষি যন্ত্রপাতির ৫০ শতাংশ কর্মদক্ষতা বাড়ানো যাবে।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডেও সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নির্মাণ ও উন্নয়ন-ফেজ-১, তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন, রংপুর জোন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।

আরকে//