রাস্তার পাশে বালু রাখায় জরিমানা ১৭ লাখ!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০১ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রাস্তার পাশে স্তুপাকারে বালু রাখায় রাস্তার পাশ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে তিন ব্যবসায়ীকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাহিদ সোহাগ, ব্যবসায়ী হাসান খলিফা ও শানু খলিফা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুর-চিনাইর-আখাউড়া সড়কের আখাউড়ার তিতাস সেতু এলাকায় প্রায় ১২০ ফুট সড়কের একাংশ গত দুইদিন আগে ভেঙ্গে যায়। এ ঘটনায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাহিদ সোহাগ, ব্যবসায়ী হাসান খলিফা ও শানু খলিফাকে দায়ী করা হয়। ভাঙা সড়কের অপরপ্রান্তে স্তুপাকারে বালু রাখার কারণে সড়কটি ভেঙ্গে যায় বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
রাস্তাটির একাংশ ভেঙ্গে যাওয়ার পর সোমবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ওই তিনজনকে ডেকে নিয়ে যান আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। পরে ওই তিনজনকে পুলিশেও দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার পর বালু রাখা ওই তিন ব্যবসায়ীকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই টাকায় সড়কের মেরামত কাজ করবেন বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবু নাহিদ সোহাগ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা বলে আমাদেরকে ডেকে নেন ইউএনও। এক পর্যায়ে বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। আমরা চেয়েছিলাম সড়কটি মেরামত করে দিতে। ধারণা ছিলো চার-পাঁচ লাখ টাকার মতো লাগবে। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটি মেরামতে ১৭ লাখ টাকা লাগবে বলে একটি বাজেট তুলে ধরেন। জানানো হয়, ওই টাকা আমাদেরকে দিতে হবে। সড়ক মেরামতের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আমাদের বালুগুলোই সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে।
তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধু বালু রাখার জন্য নয়, সঠিকভাবে সড়ক নির্মাণ না করা ও বৃষ্টির পানির কারণে সড়কের একপাশ ধসে পড়ে। কিন্তু এখন সমস্ত দোষ আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে আমরা আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।
এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, রাস্তা ভাঙ্গার খবর পাওয়া মাত্রই আগে সড়কের পাশ ঘেঁষে থাকা বালু সরিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ি ঠিকাদাররা ১৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। মেরামত কাজটিও করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এনএস/