ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ক্যাম্পাসের মুখ

করোনাকালেও ব্যস্ত অর্নিতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৯ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৮:৩১ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২০ বুধবার

অর্নিতা দাস

অর্নিতা দাস

অর্নিতা দাস। পড়াশুনা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগে তৃতীয় বর্ষে। করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও থেমে নেই অর্নিতা। নিয়ম মেনে বাড়িতে পড়ালেখা, সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি চলছে সামাজিক কাজও। অর্নিতার মুখেই শুনে নিই তার কাজকর্মের খবর।

ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনার পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি, অভিনয় করতাম। তবে এখন যেহেতু সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাথে যুক্ত আছি। আমি ‘প্রজেক্ট কন্যা’ নামে বন্ধু ফাউন্ডেশনের একটি প্রজেক্টে মানব সম্পদ (এইচআর) সহকারী হিসেবে কাজ করি। এটি মেয়েদের মাসিক কালীন সমস্যা নিয়ে কাজ করে। পাশাপাশি আলোকিত শিশু’র প্রকল্প ‘গিফট ফর গুড’ এবং শেকড়-এ কনটেন্ট রাইটার হিসেবে লেখালেখি করি।

উল্লেখ্য, আলোকিত শিশু নাটোর ও মুন্সিগঞ্জে সুইপার ও বেদেপল্লীর বাচ্চাদের পড়ালেখা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে গিফট ফর গুড অসহায় মানুষের মাঝে ও বিভিন্ন কমিউনিটিতে ত্রাণ বিতরণ করে। কোথাও দৈনন্দিন বাজার সামগ্রী, কোথাও বা রান্না করা খাবার।

বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান শেকড় প্রোগামে কনটেন্ট লেখার পাশাপাশি মানব সম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও প্রথম আলোর বন্ধুসভায় ঢাকা মহানগর ২০২০ সালের কমিটিতে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত আছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পন করে স্বেচ্ছাসেবায় হাতে খড়ি হয় ২০১৮ সালে। একটি পথশিশুদের স্কুলে পড়ানোর মাধ্যমে। স্বেচ্ছাসেবার পাশাপাশি এখনো সংস্কৃতি চর্চা অব্যাহত আছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচ, গান, আবৃত্তি এখনো চালিয়ে যাচ্ছি। অবসরের শখ হিসেবে গল্প এবং নাটক লিখি।

গানের হাতেখড়ি দিদির কাছে। যেহেতু জন্মের পর থেকেই দেখছি পিসিরা, দিদি, জেঠু, দাদা- সবাই গান করে। বলা যায়- পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে শুনে শুনে, দেখে দেখেই গান শেখা। বর্তমানে আমি ড. ঋতুপর্ণা চক্রবর্তীর কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দীক্ষা নিচ্ছি। 

নাচ আমার ছোটবেলা থেকেই প্রিয় সখ। আর গান যেহেতু অনায়াসেই শিখে যাচ্ছিলাম, তাই নাচের প্রতি আগ্রহটা বেশি ছিলো। ছোটোবেলার কথা মনে করলে- আমি হাঁটতাম কম নাচতাম বেশি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং প্রথমস্থান অধিকার আমার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দেয়। তবে পড়াশুনার চাপ বাড়ার সাথে সাথে নাচের চর্চা কমতে থাকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আবারো বিভিন্ন নাচের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছি। 

চলমান করোনা অবসরের অধিকাংশ সময় কাটে লেখালেখি করে। বিভিন্ন পকল্পে কনটেন্ট লিখে। আলোকিত শিশু নামের সংস্থাটির গিফট ফর গুড প্রকল্প- যা করোনা দুর্যোগ ও আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের সহায়তায় কাজ করছে। প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষগুলোর গল্প লিখি- এটা আমার কাছে অন্যরকম ভালোলাগা। নতুন শেকড় নামে একটা প্রোগ্রাম- যেটা সফট স্কিল নিয়ে কাজ করে। সেখানে কনটেন্ট লেখাও শুরু হয়েছে। তাছাড়া পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, প্রতিদিন সন্ধ্যায় গান গাওয়া, গল্প লেখা- এভাবেই সময় কাটছে।

এনএস/