করোনা উপসর্গ নিয়েই সন্তান জন্ম দিলেন হাসিনা আক্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৮:০৩ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২০ বুধবার
করোনার উপসর্গ থাকায় বেসরকারি ক্লিনিক ফিরিয়ে দিলেও এক অন্তঃসত্ত্বার চিকিৎসা হয়েছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে। পরে হাসপাতালের গাইনি বিভাগে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনি জন্ম দেন এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান।
প্রসূতি হাসিনা আক্তার (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের নারুই গ্রামের বেলাল মিয়ার স্ত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনার উপসর্গ থাকায় ওই প্রসূতিকে ভর্তি করতে অনীহা প্রকাশ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেল রোডের একটি বেসরকারি ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ। পরে ওই প্রসূতিকে তার স্বামী গত শনিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করার। ভর্তির সময় তার শরীরে জ্বর ছিলো।
গত রোববার থেকে তার জ্বরের পাশাপাশি ঠান্ডা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সোমবার তার প্রসব ব্যথা শুরু হলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেনের নির্দেশে গাইনি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ ফৌজিয়া আখতার ও গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মাহফিদা আক্তার হ্যাপী তার সিজারিয়ান অপারেশন করান। যার মাধ্যমে ওই নারী জন্মদেন এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান।
হাসিনা আক্তারের স্বামী বেলাল মিয়া বলেন, গত ১১ জুলাই আশংকাজনক অবস্থায় তার স্ত্রীকে শহরের জেল রোডের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে আসলে করোনার উপসর্গ থাকায় ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তার স্ত্রীকে ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করে। কোন উপায় না দেখে তিনি স্ত্রীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। গত সোমবার দুপুরে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার স্ত্রী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।
তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পারলে হয়তো তার স্ত্রীকে বাঁচানো যেতো না।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাঃ ফৌজিয়া আখতার বলেন, বর্তমানে মা ও শিশুকে ওই বিভাগের একটি আইসোলেশন কক্ষে রাখা হয়েছে। স্মৃতি রানী সাহা নামের একজন সেবিকা তাদের দেখাশুনা করছেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন বলেন, মা ও শিশুর কাছ থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া চিকিৎসক ও সেবিকাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ও তাদের ও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এনএস/