ভারতে একদিনেই ৩৩ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার
সময়ের সাথে ভারতে তীব্র হচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। ভারি হচ্ছে লাশের মিছিল। গত একদিনেই দেশটিতে প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ করোনার শিকার হয়েছেন। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯ লাখ ৬৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণহানি ২৫ হাজার ছুঁই ছুঁই। আক্রান্তদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ রোগী বেঁচে ফিরেছেন।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৬৯৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।
একই সময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৬০৬ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৯১৫ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ২৪ লাখের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।
এদিকে বুধবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় আট হাজার মানুষ। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭৫ হাজারে ৬৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৯২৮ জনের। গত সোমবার (১৩ জুলাই) থেকে এ রাজ্যে ১০ দিনের কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে।
তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫১ হাজার ৮২০ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ২ হাজার ১৬৭ জনের।
রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৪৮৭ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
অপরদিকে, গেল সপ্তাহ পর্যন্ত সুস্থতার হার উল্লেখযোগ্য থাকলেও বর্তমানে কিছুটা কমেছে। তারপরও গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ হাজার ৭৮২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৬ লাখ প্রায় ১৩ হাজার ভুক্তভোগী। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫০৫ জন।
এআই/এমবি