ঢাকা, বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৯ ১৪৩১

ভয়ংকর হয়ে উঠছে যমুনা, চরম ভোগান্তিতে পৌনে দুই লাখ পানিবন্দী 

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি  ঢল ও অতি বৃষ্টিতে পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জে প্রমত্তা যমুনা নদী রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। প্রতিদিন নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা পানিতে ডুবে যাচ্ছে। 

দুই দফা বন্যায় টানা তিন সপ্তাহের অধিক সময় পাঁচ উপজেলা কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরের ১ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব অসহায় মানুষদের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। 

বন্যা দুর্গত মানুষরা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের অভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে। ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় রাস্তা কিংবা উঁচু স্থানে মাথায় গোজার ঠাই খুঁজছেন অনেকে। পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র নদী ভাঙনে দিশেহারা যমুনা পাড়ের এসব ভুক্তভোগী। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
 
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বিপদসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৮৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, প্রথম দফা বন্যায় চলতি জুলাই মাসের ১ তারিখে কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয় ও সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে রেকর্ড ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। 
 
কাজিপুর পয়েন্টে দ্বিতীয় দফায় প্রথম দফার চেয়ে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার বেশি ও সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার বেশি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

যমুনায় আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। 

এআই//এমবি