নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির অফিসে ভাঙচুর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৯ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রক্টর অফিস সংলগ্ন নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির দপ্তরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতেও সিসি টিভি ক্যামেরা না থাকায় প্রত্যেক ছুটিতেই বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের ২য় তলায় দপ্তর ভাঙচুর অবস্থায় দেখতে পান সংগঠনের সদস্যরা। তারা জানান, করোনা সংক্রমণের শুরুতে মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় দপ্তরে কারো আসা হয়নি। বিশেষ কাজে দপ্তরে গেলে আজ ভাঙচুর অবস্থায় পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই দপ্তর।
সংগঠন সূত্রে জানা যায়, ভাঙচুরের এই ঘটনায় দপ্তরের মূল ফটকে থাকা সংগঠনের নাম সম্বলিত সাইনবোর্ডটি ভেঙ্গে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দরজার উপরে থাকা গ্রীলের ভিতর দিয়ে ইট-কণা ছুঁড়া হয়েছে। এতে দপ্তরে থাকা যন্ত্রপাতির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
এ হামলার তীব্র নিন্দা জানান নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের দপ্তরে ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি এই ভাঙচুরের ঘটনায় যথাযথ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
তিনি আরও বলেন, এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিস ও ছাত্র পরামর্শ নির্দেশনা বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। এসময় অতিশীঘ্রই সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের জোর দাবী জানান নোবিপ্রবিসাস সভাপতি।
সব সময় নিরাপত্তা প্রহরী থাকলেও ভাঙচুরের এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয় বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। নোবিপ্রবি আনসার পিপিই জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা এই ভাঙচুর সম্পর্কে অবগত নই।
এই ভাঙচুরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন নোবিপ্রবি প্রক্টর প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আনসারদের মাধ্যমে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এবং অতি শীঘ্রই এই ভাঙচুরের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও সাংবাদিক সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড.দিদার-উল-আলম বলেন, এটা খুবই নিছক মনমানসিকতার কাজ। এর জন্য দুংখ প্রকাশ এবং নিন্দা জানাই। ব্যক্তি আক্রস থেকে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে আমি মনে করি। সাংবাদিক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনুনাগ ব্যবস্থা নিবো।
কেআই/