ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সঙ্গীতশিল্পী সেলিম খান করোনামুক্ত 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৬ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০১:১৪ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

করোনামুক্ত হয়েছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সেলিম চৌধুরী। আক্রান্ত হয়ে তিনি সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে করেনা জয় করে হাসপাতাল থেকে সিলেটের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগরের নিজ বাসায় ফিরে গেছেন এই সংগীতশিল্পী।

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সেই সঙ্গে সেলিম চৌধুরীও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৭ জুলাই থেকে সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন খ্যাতনামা এ শিল্পী। সেখানকার করোনা ইউনিটে এক সপ্তাহ স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে সবার দোয়ায় অবশেষে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন বলেও জানান তিনি।

এ নিয়ে সেলিম চৌধুরী একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, অসুস্থ হওয়ার পর আত্মীয়-স্বজন, অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী দোয়া করেছেন আমার জন্য। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।

তিনি জানান, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও চিকিৎসকদের পরামর্শে কিছুদিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

এদিকে, কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম বলেন, এখন আর ফলোআপ নমুনা নেওয়া হয় না। করোনা শনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে টানা ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকলে সুস্থতার একটি সনদপত্র দেওয়া হয়। কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরীকেও সুস্থতার সনদপত্র দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই কভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা দেন। ৬ জুলাই জানতে পারেন তার করোনা পজিটিভ। তারপর থেকে সিলেটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ‘কবিতার মতো চোখ যে তোমার’ শিরোনামে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ করেন সেলিম চৌধুরী। মৌলভীবাজারের শমসেরনগরে সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া গুণী এ শিল্পী রাধারমণ দত্ত, হাসন রাজা, শাহ আবদুল করিমের গান গেয়ে শ্রোতাদের মাঝে বিশেষ পরিচিতি পান।

১৯৯৪ সালের দিকে হুমায়ূন আহমেদে একটি নাটকে রাধারমণ দত্তের ‘আইজ পাশা খেলব রে শ্যাম’ গান গেয়ে দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলেন তিনি। এরপর আর পিছু তাকাতে হয়নি। হুমায়ূন আহমেদের ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন তিনি।
এসএ/