যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়ক এখন মরণফাঁদ
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২০ শুক্রবার
বৃষ্টি হলেই সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর সদরের প্রধান মহাসড়কের বেহাল দশায় নাস্তানাবুদ হচ্ছেন পথচারীরা। উপজেলা সদরের বুকচিড়ে যাওয়া যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কটির কয়েকটি স্থানে পিচ-পাথর-খোয়া উঠে রীতিমতো গর্তে রূপ নিয়েছে। সেখানে কাদা পানি আর ছোট ছোট পাথরকুচিতে চলাচলে সীমাহীন সমস্যার মুখে পড়ছেন পথচারীরা। মহাসড়ক যেন মহাবিপদে রূপ নিয়েছে।
পানির নিচে গর্ত দেখা না যাওয়ায় ভোগান্তি আর দুর্ভোগে পতিত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। চলমান বৃষ্টি শুরুর অনেক আগেই রাস্তার ওই সকল স্থান অনুপযোগী হয়ে পড়লেও সংশ্লিষ্টরা কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে। মহাসড়কের পাশাপাশি পৌর সদরের বিভিন্ন সড়কেরও একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা সদরের কলারোয়া সরকারি কলেজ বাসস্ট্যান্ড, জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল মোড়, রুচিরা বেকারির সামনে, আহলে হাদিস জামে মসজিদ মোড়, হোমিও প্যাথিক ডাক্তার আনিছুর রহমানের বিল্ডিংয়ের সামনে ও যুগিবাড়ি এলাকা হতে যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কাজিরহাট পর্যন্ত এ অবস্থা।
পৌরসভাধীন মহেন্দ্র স্ট্যান্ড থেকে শুরু করে হাসপাতাল রোডের বেশ কয়েকটি স্থান, পাকা ব্রিজ থেকে মির্জাপুর ও বেত্রবতী হাইস্কুল মোড় এলাকা পর্যন্ত রাস্তার করুণ দশায় নাজেহাল এলাকাবাসী ও পথচারী। রাস্তাগুলোর বহু স্থানে গর্ত ও খানাখন্দে পরিণত হয়ে ঘটছে দুর্ঘটনাও।
সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তা ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কটিতে নাম মাত্র কয়েকবার টেন্ডার দিয়ে বাকি অংশ নিজেই তার দপ্তরের লোক দিয়ে ভাঙা গর্তে পট্টি মারা শুরু করেন। যা চলতি বছর পর্যন্ত চলে আসছে। বর্তমানে পট্টিমারা রাস্তায় সাধারণ সাইকেল চালকও চলাচলে ভয় পাচ্ছেন।
এমনকি জনসাধারণ ওই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। বাস কিংবা ট্রাক আসলেই গাড়ির চাকা খাদে পড়ে সাধারণ মানুষের গায়ে কাদা পানি লেগে কাপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ পট্টি মারলে লাখ টাকার বিল পাচ্ছেন। তাই রাস্তা সংস্কারে টেন্ডার না করেই এভাবে নিজের দপ্তর দিয়ে পট্টি মারার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে একদিকে সরকারি টাকা তছরুপ হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি কর্মকর্তাদের পকেট ভারি হচ্ছে।
এর আগে কলারোয়ায় সড়ক ও জনপদের আওতাধীন কলারোয়া টু সরসকাটি রাস্তা সংস্কারে (কার্পেটিং) ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। যার ফলে আজ ওই রাস্তা খানাখন্দে ভরে গেছে।
এলাকার জনসাধারণ ও পথচারীদের প্রশ্ন-আর কবে হবে এই রাস্তার সংস্কার? কবে ভোগান্তি থেকে পাবে মুক্তি? তারা অবিলম্বে রাস্তা সংষ্কার করে জনভোগান্তী থেকে রেহাই দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
একই সাথে সড়ক ও জনপথের সাতক্ষীরার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামনা করেন।
এআই//এমবি