জামিন পাননি ফাহিমের খুনি হাসপিল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ১৯ জুলাই ২০২০ রবিবার
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ‘পাঠাও’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডেভন হাসপিলকে জামিন দেননি আদালত। শনিবার বিচারক জোনাথন স্ভেটকি তাকে জামিন না দিয়ে হাজতে রাখার আদেশ দেন। সেইসঙ্গে হাসপিলকে আগামী ১৭ আগস্ট আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটন এলাকার নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিম সালেহর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর গত শুক্রবার এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী হাসপিলকে। একই দিনে তার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নিউইয়র্ক সময় শুক্রবার মধ্যরাতে ম্যানহাটনের ক্রিমিনাল কোর্টে হাসপিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সময় ম্যানহাটনের অ্যাসিসট্যান্ট ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি লিন্ডা ফোর্ড জানান, টাইরেস ডেভন হাসপিলকে দোষী প্রমাণের জন্য পর্যাপ্ত আলামত পাওয়া গেছে। নজরদারি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ দেখে এসব আলামত শনাক্ত করা হয়েছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের প্রধান ডিটেকটিভ রোডনি হ্যারিসন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফাহিমের অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিষয়গুলো তদারকি করতেন সন্দেহভাজন হাসপিল।’
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্য থেকে জানা গেছে, ২১ বছর বয়সী হাসপিল ফাহিমের ১ লাখ ডলার চুরি করেছিল। এর বাইরেও ফাহিম তার কাছে আরও অনেক অর্থ পেতেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এনওয়াইপিডি-এর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান রডনি হ্যারিসন বলেন, ‘চুরি করা অর্থের পাশাপাশি হাসপিল আরও বড় অঙ্কের অর্থ ভুক্তভোগীর থেকে ধার নিয়েছিল বলে আমরা ধারণা করছি।’
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসপিল লং আইসল্যান্ড হাইস্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন। তবে ডেইলি নিউজ বলছে, সেই গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারেনি হাসপিল। ফাহিমের সঙ্গে তিনি কাজ করার সুযোগ পান একটি প্রতিযোগিতা থেকে।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল হত্যাকাণ্ডকে এমনভাবে সাজাতে চেয়েছিলেন যাতে মনে হয় এটি কোনো পেশাদার খুনির কাজ এবং আন্তর্জাতিক যোগসূত্র রয়েছে। তবে তার বেশ কিছু ভুলের কারণে পুলিশ তাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
গোয়েন্দাদের ধারণা, ১৬ বছর থেকে ফাহিমের সঙ্গে কাজ শুরু করে হাসপিল। এরপর ধীরে ধীরে ফাহিমের কিছু আর্থিক ও ব্যক্তিগত বিষয় দেখাশোনা শুরু করে। ব্যক্তিগত বিষয়ের মধ্যে নিহতের কুকুরের দেখাশোনাও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফাহিম তাকে যথেষ্ট পরিমাণ মজুরি দিতেন। যার ফলে হাসপিল তার পরিবারের অনেকের ঋণ শোধ করতে পেরেছেন।
এসএ/