ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

লুথার কিং’র সঙ্গি কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলনের নেতা জন লুইস মারা গেছেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২০ রবিবার

(ছবি- জন লুইস’র ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত)

(ছবি- জন লুইস’র ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত)

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অন্যতম আইকন এবং কংগ্রেসের সদস্য জন লুইস মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার মারা জানা তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। জন লুইস জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট নেতা ছিলেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি জানিয়েছিলেন যে চতুর্থ ধাপের অগ্নাশয়ের ক্যানসারে ভুগছেন তিনি। ২০১০ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁকে প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডমে ভূষিত করেন। খবর বিবিসি’র। 

জানা যায়, মার্টিন লুথার কিং ১৯৬৩ সালের ২৩ আগস্ট যে সমাবেশে ঐতিহাসিক ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ ভাষণ দেন সে সমাবেশে ১০ জন প্রধান বক্তা ছিলেন। তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন জন লুইস। তখন ২৩ বছরের যুবক জন লুইস এক মাত্র জীবিত ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৪০ সালে আলাবামার ট্রয় শহরে জন্ম তার। কৃষ্ণাঙ্গ শিশু হিসেবে বেড়ে ওঠার সময়ই তীব্র বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয় তাকে। সে সময় আলাবামা রাজ্যে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের এক সঙ্গে পড়ালেখা করার বিষয়ে বিধিনিষেধ ছিল। জন লুইস ট্রয় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করতে চাইলেও সেটিতে শুধু শ্বেতাঙ্গদেরই পড়ার অধিকার ছিল। এ জন্য ১৭ বছর বয়সে আলাবামা ছেড়ে যোগ দেন টেনেসির আফ্রিকান-আমেরিকান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।

ছাত্রজীবনের প্রায় পুরোটা সময়েই আফ্রিকান-আমেরিকানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন জন লুইস। ১৯৬১ সালে আমেরিকার গণপরিবহনে বা পাবলিক প্লেসে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি পাশাপাশি দাঁড়ানো আইনত দণ্ডনীয় ছিল। এই নিয়মের প্রতিবাদ করতে ১৩ জন প্রতিবাদকারী ওয়াশিংটন থেকে নিউ অরলিন্স পর্যন্ত বাসে ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন। যাদের সাত জন শ্বেতাঙ্গ ও ছয় জন কৃষ্ণাঙ্গ ছিলেন। এদের মধ্যে একজন ছিলেন জন লুইস।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত আইন, নীতিমালা ও বিবৃতির কঠোর সমালোচনা করেছেন জন লুইস। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিলেন তিনি। নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের সমালোচনা করতে পিছপা হননি। জন লুইস বলতেন, ‘তুমি যখন দেখবে যে কিছু একটা অন্যায়, অবিচার হচ্ছে, তখন তার বিরুদ্ধে কথা বল। লড়াইয়ে বুঝে শুনে নেমো, কিন্তু যখন সময় আসবে তখন অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও লড়াই করতে পিছপা হবে না’।

এমএস/