ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনায় যে শহরে ‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি’ ঘোষণা চীনের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৬ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২০ রবিবার

করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে এর বিস্তার। প্রাণঘাতি ভাইরাসটির সংক্রমণ দেখা দিয়েছে চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে। এই এলাকার রাজধানী উরুমকিতে ‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি’ হিসাবে ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি

শনিবার উরুমকি শহরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে নতুন করে ১৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর ফলে সেখানকার মানুষজনের চলাচলে কড়াকড়ি বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।

স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়াং এলাকার মোট বাসিন্দা প্রায় ৩৫ লাখ। এখানে গত বুধবার থেকে সর্বশেষ সংক্রমণগুলো শনাক্ত শুরু হয়। এরপরেই ওই শহর থেকে সকল বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। শহরটির সাবওয়ে চলাচলও স্থগিত করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

একজন কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘পুরো শহরটিতে এখন থেকে ‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি’ থাকবে এবং দলগত সব ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে।’

লকডাউনের মধ্যে কর্তৃপক্ষ কড়াকড়ি নির্দেশ জারি এলাকাবাসিকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, ‘যেসব বাড়িতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেখানে ব্যাপকভাবে স্ক্রিনিং করা হবে। যা পরবর্তীতে পুরো শহর জুড়ে চলবে। একজনের বাড়ি থেকে আরেকজনের বাড়িতে যাতায়াত চলবে না, এমনকি দলবদ্ধভাবে কিছু করা যাবে না। অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ শহরের বাইরে বের হতে পারবে না। কেউ বের হতে চাইলে তার প্রয়োজনের বিষয়টি যাচাই করে দেখা হবে।’

জিনজিয়াংয়ে এই সপ্তাহে আরও ২৩ জনের শরীরে উপসর্গ দেখা গেছে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া ২৬৯ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। যদিও এই সংখ্যাটি খুব কম বলে মনে হলেও, গত বছর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে দেশটির অন্যান্য এলাকায়ও খুব কম সংখ্যক করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে।

উহানের পর দেশটিতে জুন মাসে বড় ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয় বেইজিংয়ের একটি এলাকায়। সেখানে ৩৩০ জন আক্রান্ত হলেও রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয় বেইজিং কর্তৃপক্ষ।

তবে প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চীন সব সময় বেশ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া সহ ব্যাপকহারে পরীক্ষা করার মতো যখন যেটি দরকার হয়েছে, চীন দ্রুত সেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সংক্রমণ বা মৃত্যুর তালিকায় প্রথম ২০টি দেশ বা অঞ্চলের মধ্যেও নেই চীন। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, চীনে ৮৫ হাজারের কিছু বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৪ হাজার ৬শ’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এএইচ/এমবি