করোনা পরীক্ষায় সাহাবুদ্দিন মেডিকেলেও জালিয়াতি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২০ রবিবার
রিজেন্টের পর এবার সাহাবুদ্দিন মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালেও করোনা পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে গুলশান-২ নম্বর এলাকার সাহাবুদ্দিন মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাজধানীর গুলশানের এই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলেও বাস্তবে হাসপাতালটি গোপনে পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। এটি হাসপাতালের একটি প্রতারণা বলে জানিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। রোববার (১৯ জুলাই) বিকেলে হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযান চলাকালে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটি অনুমোদন ছাড়াই র্যাপিড কিট দিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি টেস্টের কাজ করছিল। এছাড়াও তারা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেয় বলে অভিযোগ পেয়েছি।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আমরা তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় এই অনুমোদন বাতিল করা হয়। এরপরও তারা গোপনে কোভিড-১৯ পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাইরের রোগীদেরও টেস্ট করেছে। এই টেস্টগুলো তারা ডিভাইসের মাধ্যমে করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ডিভাইস ব্যবহারের অনুমোদন নেই। আর যেসব রিপোর্ট দিয়েছে তা সবই ভুয়া।
দ্বিতীয় অভিযোগ হলো- হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু পরীক্ষা বাইরের অন্যান্য হাসপাতাল থেকে করে তা নিজেদের হাসপাতালের (শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ) প্যাডে লিখে রোগীদের দিয়েছে।
তৃতীয় অভিযোগ হলো- তারা কিছু প্রোডাক্ট যেমন মাস্ক, গ্লোভস, এগুলো তারা একের অধিক বার ব্যবহার করছে। এগুলো মূলত ওয়ানটাইম ইউজেবল। কিন্তু তারা এগুলো বার বার ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পুরো হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করছি। হাসপাতালের ওষুধাগারেও অভিযান চালিয়েছি। হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত ও হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদিকে র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আরকে//