ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে আজ আক্রান্ত বাড়লেও মৃত্যু কমেছে 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৯ এএম, ২০ জুলাই ২০২০ সোমবার

নিউইর্য়কের ম্যানহ্যাটনের কেন্দ্রীয় পার্কে ক্লান্ত এক স্বাস্থ্যকর্মী- রয়র্টাস/বিজনেস ইনসাইডার

নিউইর্য়কের ম্যানহ্যাটনের কেন্দ্রীয় পার্কে ক্লান্ত এক স্বাস্থ্যকর্মী- রয়র্টাস/বিজনেস ইনসাইডার

বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে আজ আক্রান্ত সংখ্যা বাড়লেও কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ৬৫ হাজার ২৭৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন যা আগের দিন ছিল ৬৩ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪১২ জন। যা আগের দিনের তুলনা ৩ হাজারের বেশি কম। গত দিন মারা গিয়েছিলেন ৩ হাজার ৭৪৯ জন। তারও আগের দিন মারা যান ৯২৭ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট মারা গেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ২৮৯ জন মানুষে। দেশটিতে মোট রোগীর সংখ্যা ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫০ জন। যুক্তরাষ্ট্রে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্থানীয় সময় রোববার রাতে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) এমনটি জানানো হয়েছে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় মৃত্যু ও সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় দ্বিতীয় ব্রাজিল। যুক্তরাষ্ট্র কখনও সংক্রমণে কখনও বা প্রাণহানিতে নিজেই নিজের রেকর্ড ভেঙেছে। 

দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ধারণা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ২০ মিলিয়ন (দুই কোটি) মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির দ্য সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) বলছে, ‘প্রকৃত তথ্য হলো প্রকাশিত সংখ্যার অন্তত ১০ গুণ বেশি মানুষ করোনার ভয়াবহতার শিকার।’ 

ওয়াল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে নাজুক অবস্থা নিউইয়র্কে। বৃহৎ এই শহরে আক্রান্ত ৪ লাখ ৩৪ হাজার ১৬৪ জন মানুষ। যেখানে ৩২ হাজার ৫৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শহর ক্যালিফোর্নিয়ায় করোনার শিকার ৩ লাখ ৯১ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৭১৩ জনের। ফ্লোরিডায় সংক্রামণ এক লাফে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে ৪ হাজার ৯৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। সংক্রমণ আশঙ্কাজনকহারে দীর্ঘ হয়েই চলেছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২১০ জন। যেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩ জনের। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৮৩ জন। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৫ হাজার ৭৮১ জনের। ইলিনয়সে সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার ৭৫০ জন। এর মধ্যে ৭ হাজার ৪৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অ্যারিজোনায় করোনাক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৪ জন। এর মধ্যে না ফেরার দেশে সেখানকার ২ হাজার ৭৬১ জন মানুষ। জর্জিয়ায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ১২৩ জন। এর মধ্যে প্রাণ গেছে ৩ হাজার ১৭৩ জনের। ম্যাসাসুয়েটসসে আক্রান্ত ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৩৪ জন। সেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৪৩১ জনের। এদিকে পেনসিলভেনিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার ৩৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৭ হাজার ৮৪ জন মানুষ। 

উল্লেখ্য, একদিনে বিশ্বেও করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ১৯ হাজারের বেশি। এ নিয়ে বিশ্বে মোট শনাক্ত ১ কোটি ৪৬ লাখের বেশি। করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ৬ লাখ ৯ হাজার মানুষ। আর সুস্থ হয়েছেন ৮৮ লাখের বেশি মানুষ। গত ১১ মার্চ করোনা ভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে মানবদেহে প্রথম এ ভাইরাসটি ধরা পড়ে। 

এমএস/