ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ভেন্টিলেশনে ১০৫ দিন থাকার পর করোনামুক্ত ফাতিমা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩০ পিএম, ২১ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

বৈশ্বিক মহামারি করোনায় মিরাকল ঘটনা ঘটেই চলছে। যেখানে বলা হয়েছিল বয়স্কদের জন্য করোনা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে দেখা যাচ্ছে শতবর্ষীরা করোনা জয় করছেন, আবার অনেক তরুণ-তরুণী এমনকি শিশুরাও মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ছে। এমনকি কেউ ১০৫ দিন ভেন্টিলেশনে কাটিয়েও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

মিরাকল এই ঘটনাটি ব্রিটেনে। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ১৩০ দিন কাটিয়েছেন হাসপাতালে। এর মধ্যে ১০৫ দিনই ছিলেন ভেন্টিলেশনে। যার মধ্যে ৪০ দিন ছিলেন কোমায়। তিনি ৩৫ বছরের ফাতিমা ব্রিডল। মুখ দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে স্যালাইন মিশ্রণ দিয়ে তার ফুসফুস পরিস্কার করা হয়। বর্তমানে তিনি অনেকটাই সুস্থ। নিজে থেকে শ্বাস নিতে পারছেন। সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তিনি বাড়ি ফেরার প্রত্যাশায়।

ফাতিমার স্বামী সাবেক সেনা সদস্য ট্রেসি ব্রিডল জানিয়েছেন, তার স্ত্রী মেডিকেল মিরাকল। এভাবে এতদিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর সুস্থ হয়ে ওঠা অসাধারণ ব্যাপার। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, ওই নারী সুস্থ হওয়ায় তিনি খুশি হয়েছেন।

জানা যায়, গত ১২ মার্চ করোনা পজিটিভ হওয়ায় ফতিমাকে সাউদাম্পটনের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এক মাস মরোক্কো থেকে ছুটি কাটিয়ে ৬ মার্চ ব্রিটেনে ফিরেন। তার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ফতিমা ও তার স্বামী। দুজনেরই করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গত ১৮ মার্চ ফতিমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে পাঠানো হয়।

করোনার সঙ্গেই তিনি নিউমোনিয়া ও সেপসিসে আক্রান্ত হন। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় ফাতিমাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। এরমধ্যেই কোমায় চলে যান এই করোনা রোগী। সাউদাম্পটনের ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা মুখের মধ্য দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে স্যালাইন মিশ্রণ দিয়ে ফাতিমার ফুসফুস পরিষ্কার করতে থাকেন। এরপরই ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করেন ফতিমা। 

করোনার পাশাপাশি নিউমোনিয়ার চিকিৎসাও চলতে থাকে তার। এরমধ্যেই ফাতিমাকে ধীরে ধীরে ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে বের করে আনেন চিকিৎলকরা। বর্তমানে ফতিমা ভালোভাবেই শ্বাস নিতে পারছেন। কথাও বলতে পারছেন। প্রায় চারমাস তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসকদের এই অবদানে মুগ্ধ ৩৫ বছরের ফাতিমা ব্রিডল। এবার দ্রুত বাড়ি ফিরতে চাইছেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি
এএইচ/ এসএ/