ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সুবিধা দিল স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৪০ পিএম, ২১ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:৪১ পিএম, ২১ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

অনলাইন ক্লাসে সকল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ও হ্যান্ডসেট প্রদান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউট। গুগল ফ্রমে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী ২৩ জনের প্রত্যেককে মাসিক ইন্টারনেট খরচ বাবদ ৩৫০ টাকা হারে ও তিন শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোন কেনার জন্য দশ হাজার দুইশত টাকা করে অর্থ প্রদান করা হয়।

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়,শিক্ষকদের গবেষণার ১ শতাংশ টাকা ও বেতনের কিছু অংশ দিয়ে গঠিত ছাত্র কল্যাণ তহবিল থেকে এই অর্থ প্রদান করা হয়।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ড.সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন,করোনাকালের প্রথম থেকেই আমারা শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। তাদের অনলাইনে ক্লাসে উপস্থিত নিশ্চিত করা ছাড়াও পরিবারকে আর্থিক ভাবে সহযোগীতা করা হচ্ছে এবং এটা অব্যাহত থাকবে।

মি. হামিদ বলেন,আমাদের উদ্যোগটি বলা যায় অনেকাংশেই সফল।অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের ক্লাস অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অামাদের দায়িত্ব। শুধুমাত্র আর্থিক কারণে কোন শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে না পারলে এটা তাদের প্রতি অন্যায় হবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটি এই উদ্যোগটি নিতে পারে, এতে খুব একটা অর্থ ব্যায় হবে তা কিন্তু নয়। এই সংকটের সময় আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর না গেলে তারা অনেকটাই পিছিয়ে যাবে।

এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল বলেন, আমরা প্রথমে সকল শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস অংশগ্রহণের ব্যাপারে গুগল ফ্রমে তাদের মতামত এবং সমস্যাগুলো ব্যাপারে জানতে চাই। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী সকল শিক্ষার্থীকে ইন্টারনেট ও হ্যান্ডসেট প্রদান করি। ইন্টারনেটের জন্য আর্থিক ভাবে অস্বচ্ছল প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মাসিক ৩৫০ টাকা হারে যতদিন পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সংকটকালীন এই মূহুর্তে আমরা শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো আমলে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি যেন তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইনস্টিটিউটি কয়েক বছর আগে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম স্বাস্থ্য বীমা চালু করে সবার প্রশংসা পেয়েছিলেন।
কেআই/