সুদানে বশিরের বিচার শুরু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৮ এএম, ২২ জুলাই ২০২০ বুধবার
দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় আগে উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে যে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির সাবেক শাসক ওমর আল বশির ক্ষমতা দখল করেছিলেন, এবার সেই ঘটনায় জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। খার্তুমের আদালতে তার বিরুদ্ধে মূলত সেনা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক এই মামলায় তার সঙ্গে অভিযুক্ত হয়েছেন সেনাবাহিনীর আরও দশজন সাবেক কর্মকর্তা ও ছয় বেসামরিক নাগরিক। যাদের মধ্যে দুইজন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও গভর্নর।
মামলাটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন ৭৬ বছর বয়সী বশির। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে তথ্যগুলো জানা যায়।
দীর্ঘ সময় সুদানের ক্ষমতায় থাকার পর দেশে রুটি ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া বিক্ষোভের জেরে গত বছরের ১১ এপ্রিল ওমর আল বশিরের সরকারের পতন ঘটে। এ সময় তাকে ক্ষমতাচ্যুতের মাধ্যমে গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। পরে একটি বেসামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে সেনারা।
ক্ষমতাচ্যুতের পর গত বছরের ডিসেম্বরে অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মামলায় দোষী প্রমাণিত হন বশির। মূলত এরপর থেকেই কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। যার ধারাবাহিকতায় এবারে সেনা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের মামলার সম্মুখীন হলেন তিনি।
এদিন আদালতে উপস্থিত থাকা ওমর আল বশিরসহ অপর ১৬ জনের বিরুদ্ধে ১৯৮৯ সালের ৩০ জুন দেশে সেনা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ওইদিন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সুদানের সেনাবাহিনী পার্লামেন্টসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাতিল করে দেয়। তখন বিমানবন্দর বন্ধসহ রেডিওতে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৫৬ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সুদানে এখন পর্যন্ত তিনবার সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটেছে।
এসএ/