করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত আবাসন শিল্প (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৫ পিএম, ২২ জুলাই ২০২০ বুধবার
দেশের বিভিন্ন শিল্পের মতো করোনার হানায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আবাসন শিল্প। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে এ শিল্পের ৪৫৮টি খাত। বেকার হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ শ্রমিক। উদ্যোক্তারা চোখে দেখছেন অন্ধকার।
দীর্ঘ মন্দার পর ২০১৯ সাল থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল আবাসন শিল্প। নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন আবাসন ব্যাবসায়ীরা। এরপর আসে করোনা। অদৃশ্য এ মহামারীর আঘাতে সমস্যায় পড়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার এ খাত। বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক।
করোনার প্রভাবে ব্যহত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নির্মাণ সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর ওপর নির্ভরশীল প্রায় এক কোটি মানুষ। এ খাতের গতি সঞ্চারে বাজেটে ঘোষিত প্রনোদণাসহ নির্মণখাত সংশ্লিষ্ট নীতি সহায়তার বাস্তবায়ন চান রিহ্যাব নেতারা। এছাড়া সিমেন্টসহ নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সব কারখানা খুলে দেয়ার দাবি তাদের।
এ শিল্পের সঙ্গে সিভিল ওয়ার্ক রড-সিমেন্ট খাতের ১১টি, ইলেকট্রিক খাতের ৩০টি, উড বা কাঠের আসবাবপত্র খাতের ২৫টি, প্লামবিং ওয়ার্ক খাতের ২০টি, টাইলস খাতের ১৩টি, স্যানিটারি খাতের ৩৩টি, পেইন্ট বা রংয়ের খাতের ৬টি, সাইট মেইনটেইনেন্স খাতের ৬টি, হার্ডওয়্যার খাতের ৯৭টি, ইলেকট্রিক মেইনটেইনেন্স ইক্যুইপমেন্ট খাতের ১৮টি, সাব কনট্রাক্ট ৬৪টি, কনসট্রাকশন ইক্যুইপমেন্ট খাতের ১৯টি, লেবার কনট্রাক্ট খাতের ২৬টি, ল্যান্ড ডেভলপমেন্ট খাতের ১০টি, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ওয়ার্ক খাতের ১৫টি, হোম অ্যাপ্লায়েন্স খাতের ৮টি, অফিস স্যানিটারির ৫৭টিসহ মোট ৪৫৮টি খাতের ব্যবসায়ীরা আবাসন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সবগুলো খাতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, অতীতে কখনোই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি কেউ। করোনার কারণে আবাসন শিল্পের কি পরিমান ক্ষতি হবে তা ধারণা করা কঠিন। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের যে কয়টি শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তার মধ্যে অন্যতম আবাসন শিল্প।
করোনার কারণে সার্বিক বাণিজ্যের ক্ষতির পরিমান কত হবে তা এখই বলা কঠিন। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ খাতগুলোর মধ্যে আবাসন অন্যতম।
জানা গেছে, আবাসন খাত স্থবির হয়ে পড়ায় সিমেন্ট এবং ইস্পাত শিল্পের উৎপাদন এ প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়েছে অসংখ্য মানুষ।
এ অবস্থায় অর্থনীতিতে গতি আনতে, আবাসন এবং সংশ্লিষ্ট খাতগুলো দ্রুত চালু করা দাবী ব্যবসায়ী নেতাদের। পাশাপাশি কাঁচামাল আমাদনীতে কর কমানো সহ নীতি সহায়তার দাবী জানান তারা।
ঋণ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে করোনার বিরূপ প্রভাব থেকে বের হতে পারবেন বলে আশা করেন রিহ্যাব সভাপতি।
অপরদিকে উদ্যোক্তরা জানান, পূর্ণ গতি সঞ্চারের আগে টিকে থাকার নীতি ধরেই এগুতে হবে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে :
এসএ/