ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

করোনাক্রান্ত স্বামীকে লাথি, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে ঘৃণ্য আচরণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৬ পিএম, ২২ জুলাই ২০২০ বুধবার

যাদবপুর থানা

যাদবপুর থানা

করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিবেশিদের হাতে মার খেলেন স্বামী। তাকে বাঁচাতে গিয়ে অভিজাত আবাসনের বাসিন্দাদের ঘৃণ্যতম আচরণের শিকার হলেন অন্তঃসত্ত্বা এক স্কুল শিক্ষিকা। বুধবার (২২ জুলাই) ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত এলাকায়। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে যাদবপুর থানায়।

জানা যায়, প্রথমে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছিল গৃহ পরিচারিকার শরীরে। এরপর আক্রান্ত হন স্বামী। এ খবর দাবানলের মতো চাউর হয়ে যায় গড়িয়ার পাটুলির ওই আবাসনে। এরপরই ধীরে ধীরে অপরিচিত হতে শুরু করে অতি পরিচিত মুখগুলো।

শিক্ষিকার অভিযোগ, প্রথমে কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তাদের সঙ্গে অনেকেই অভব্য আচরণ করতে থাকেন। কার্যত তাদের একঘরে করে রাখা হয়।

শিক্ষিকা অন্তঃসত্ত্বা- তা জানার পরই মানবিক হওয়ার বদলে আরও অমানবিক চেহারাগুলো প্রকট হতে থাকে। ইদানীং তা মাত্রাছাড়া হওয়ায় প্রতিবাদ করেন শিক্ষিকার স্বামী। অভিযোগ, এরপরই আবাসনের দুই বাসিন্দা তাকে মাটিতে ফেলে লাথি মারেন। এসময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হয় ওই শিক্ষিকাকেও। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শিক্ষিকা।
  
রোগী নয়, রোগকে দূরে সরান- একথা বারবার জনসমক্ষে প্রচার করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের তরফ থেকে। কিন্তু খোদ কলকাতার বুকেই যদি এহেন ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত তৈরি হয়, তাহলে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে কী হবে! ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। তবে এও ঠিক যে, নামি, কেতাদুরস্ত চকচকে ফ্ল্যাটে থাকলেই তো আর উন্নত মানসিকতার পরিচয় মেলে না! তার জন্য চাই প্রকৃত শিক্ষা! বলছেন সমাজের বাকি অংশ। সূত্র- জিনিউজ।

এনএস/