ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রাতের ঘুম কম হলে হতে পারে আলজেইমার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৪ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:১২ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার

আমাদের জীবন যাপনে অনেকটা পরিবর্তন এসেছে। কেউ কেউ আছেন রাত জেগে কাজ করতে পছন্দ করেন, আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শহরকেন্দ্রিক মানুষরা টিভি দেখা ও ফোন ঘাটাঘাটিতে অলসভাবে রাতের অনেকটা সময় কাটিয়ে দেন। এই অভ্যাসে দেখা দিতে পারে মারাত্মক রোগ। 

এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে চার ঘন্টার কম ঘুমান তাদের আলজেইমার রোগের ঝুঁকি বেশি। আর যারা রাত ১০টায় ঘুমাতে যায় এবং ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমায় তাদের আলজেইমারের ঝুঁকি কম। 

চীনে এক সমীক্ষায় বলা হয়, রাতে যারা চার ঘন্টার কম অথবা দশ ঘন্টার বেশি ঘুমায় তাদের অ্যামাইলয়েড বিটার পরিমাণ বেশি থাকে। অন্যদিকে যারা রাত দশটায় ঘুমাতে যায় এবং ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমায় তাদের অ্যামাইলয়েড বিটার পরিমাণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকে।

আলজেইমার রোগের সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রাখে অ্যামাইলয়েড বিটা প্রোটিন। এই প্রোটিনের প্রবণতা হচ্ছে জোট বেধে ফলক তৈরি করা, অ্যামাইলয়েড বিটার উৎপাদন ও সক্রিয়তার ভারসাম্যের অভাবে এরা মস্তিষ্কে ফলক তৈরি করে এবং নিউরনের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে। এর ফলে নিউরন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে অথবা মস্তিষ্কেও অন্যান্য কোষ থেকে কোন সংকেত গ্রহণ করতে পারে না এবং নিউরন মারা যায়।

আলজেইমার একটি ক্রনিক ব্যাধি। এতে স্মৃতিশক্তি বিনষ্ট হয় এবং অন্যান্য মানসিক কার্যক্রম ব্যাহত করে।

ফুদান ইউনিভার্সিটি এবং কুইংদাও ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ৪০ থেকে ৮৮ বছর বয়সের ৭৩৬ জনের ওপর এই সমীক্ষা চালান। গবেষকরা সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সেরিব্রোস্পাইরাল ফ্লুইডে অ্যামাইলয়েড বিটার স্তর পরিমাপ করেন এবং তাদের ঘুমের অভ্যাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।

আলজাইমার এন্ড ডিমেনশিয়া জার্নালে প্রকাশিত গবেষকদের এই রিপোর্টে বলা হয়, তারা দেখেছেন রাতের ঘুমের অভ্যাসের সঙ্গে আলজেইমারের ইউ আকারের ( হ্রাস বৃদ্ধির) সম্পর্ক রয়েছে এবং এতে সেরিব্রোস্পাইরাল ফ্লুইডে অ্যামাইলয়েড বিটার তারতম্য ঘটে।

সমীক্ষায় অংশ নেয়া নারীদের মধ্যে যারা দিনের বেলায় ঘুমানোর কথা বলেছেন, তাদের ক্ষেত্রে অ্যামাইলয়েড বিটার পরিমাণ বেশি দেখা গেছে।

এই রিপোর্টে সর্বশেষ বলা হয়, গবেষণায় ঘুমের সঙ্গে আলজেইমারের সম্পর্ক পেয়েছেন তারা।

এএইচ/এমবি