একুশে টেলিভিশন ১৮ বছরে পা রাখলো
প্রকাশিত : ১০:৪৮ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ১১:৪৭ এএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৭ শুক্রবার
বেসরকারি খাতে দেশের প্রথম টেরিস্ট্রিয়াল টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টেলিভিশন ১৮ বছরে পা রাখলো। শুরুর লগ্নেই একুশে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলো। তবে চলার পথ মসৃন হয়নি। সব সংকট পায়ে দলে একুশে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বারবার। আঠারোতে পা রাখার এই দিনে একুশেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
২০০০ সালের ১৪ই এপ্রিল, বাংলার চিরায়ত উৎসবের দিন নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু বেসরকারী খাতে প্রথম পুর্ণাঙ্গ টেলিভিশন একুশে টেলিভিশনের।
আপস...সংসদ ভবনের সামনের ‘একুশের পাল তুলে’ গানের সম্মিলিত সংগীত
প্রতিষ্ঠার পর ২৮ মাস একুশে টেলিভিশন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, বৈচিত্রময় অনুষ্ঠানের সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে জয় করে মুগ্ধ করে কোটি দর্শকের মন।
কিন্তু সাড়া জাগানো এই চ্যানেলটি ২০০২ সালে আইনী জটিলতার অজুহাতে বন্ধ করে দেয়া হয়। একুশে শিকার হয় প্রতিহিংসার রাজনীতির।
একুশে টেলিভিশন বন্ধের পর বছরের পর রাজপথে ছিলো সেসময়ের একুশে সাংবাদিক, কর্মী, কলাকুশলীরা, সঙ্গে ছিলেন শুভানুধ্যায়ীরা। ২০০৫ সালে আদালত একুশে টেলিভিশন সম্প্রচারের বৈধতা দিলেও সরকার যতটা দ্রুত বন্ধ করেছিলো, খুলে দিতে সেই দ্রুততা দেখা যায়নি। ২০০৭ সালে আবারো সম্প্রচারের আসার পর থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পার করে পা রাখলো ১৮ বছরে। একুশের জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার বাণীতে কামনা করেছেন একুশের সাফল্য। গনমানুষের উন্নয়নে ভূমিকার রাখারও আহবান জানিয়েছেন।
সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী-যিনি প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন আজকেও তিনিই প্রধানমন্ত্রী। জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। অবাধ তথ্য প্রবাহ এবং সুস্থ বিনোদনে একুশের ভূমিকা রাখার আশাবাদও বঙ্গবন্ধু কন্যার বাণিতে।
একুশের পথচলার এই লগ্নে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার বাণীতে জাতির ক্রান্তিকালে সততার সঙ্গে একুশে টেলিভিশনের ভূমিকা রাখার কথা বলেছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
একুশে টেলিভিশনের মালিকপক্ষও চান, ১৮ বছরে পা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংবাদ ও অনুষ্ঠান দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের পাশে দাঁড়াবে চ্যানেলটি।
প্রতিষ্ঠাকালীন একমাত্র টেরিস্ট্রিয়াল চ্যানেল বর্তমানে স্যাটেলাইটে দেখেন দর্শকরা। একুশে টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, দক্ষ কর্মী ও উন্নত প্রযুক্তির সমাবেশেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
সংবাদ-বিনোদনে দেশের কোটি দর্শকের স্বপ্নপুরণের চ্যানেল হয়ে উঠবে একুশে টেলিভিশন- এমন প্রত্যাশা সবার।