বাগেরহাটে বাঁধ ভেঙ্গে চিংড়ি ঘের ও লোকালয় প্লাবিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০২ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২০ শুক্রবার
বাগেরহাটে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে কেশবপুর প্রামের শতাধিক চিংড়ি ঘের, ঘরবাড়িসহ লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ভৈরব নদীর জোয়ারের পানির চাপে সদর উপজেলার কেশবপুর প্রামের মুনিগঞ্জ সেতু সংলগ্ন এলাকা ভেঙ্গে যায়।
এতে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বসত ঘর ও রান্না ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কেশবপুরের শতাধিক পরিবার। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ ও সবজি ক্ষেত। চুলোয় পানি ওঠায় অনেকে রান্নাও করতে পারেননি।
স্থানীয়রা বলেন, ব্রিজের নিচ থেকে কিছুদূরে এসে গ্রামরক্ষা বাঁধের একটি অংশে নালা তৈরি হয়। জোয়ারের পানির চাপে ওই জায়গা থেকে বাঁধ (রাস্তা) ভেঙ্গে যায়। ভেঙ্গে পানি ঢুকে আমাদের পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। আমাদের অনেকের মৎস্য ঘের,সবজি ক্ষেত ও ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ঘেরের মাছ ও সবজি ভেসে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে এই ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে জানিনা।
হাসিনা বেগম, নাজমুন নাহার, নাছু বেগম বলেন, হঠাৎ করে পানি এসে বসত ঘর ও রান্নাঘর ডুবে গেছে। চুলোর মধ্যে পানি উঠে গেছে, রান্না করতে পারিনি। পানি না নামলে কিভাবে কি করব জানিনা।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান খান বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাজিরপুর উপ-প্রকল্প নামে কেশবপুর এলাকায় একটি বেড়িবাঁধ ছিল। ১০-১২ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এখানে পাকা সড়ক করে। গ্রামে জোয়ারের পানি প্রবেশের জন্য কালভার্ট করা হয়। বাঁধের পাশে স্থানীয়দের চিংড়ি ঘেরে পানি চলাচল সচল রাখার জন্য বাঁধের নিচ থেকে ছোট ছোট পাইপ দিয়েছেন। এই পাইপ ও কালভার্টের ফলে বাঁধটি দূর্বল হয়েছে এবং ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।আমরা যত দ্রুত সম্ভব এখানে বাঁধ সংস্কারের মাধ্যমে লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করব।
কেআই/