ভ্রাম্যমাণ প্রাণীদের পাশে শেকৃবি`র শিক্ষার্থীরা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৪৩ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২০ শুক্রবার
করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফাঁকা হয়ে আছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফলে খাদ্যের সংকটে পড়েছে ক্যাম্পাসের কুকুর, বিড়াল, চিলসহ অসংখ্য প্রাণী।
এমতাবস্থায় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত কিছু শিক্ষার্থী মানবতার এক অনন্য নজর স্থাপন করেছেন। করোনার এই দুর্যোগের সময়ে তারা টানা ৪ মাস প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫টি কুকুর, ২৫ থেকে ৩০টি বিড়াল-কাক, চিলসহ ভাসমান প্রাণীদের খাবার খাওয়ানো ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। এতে কোনও ক্লান্তি বা বিরক্তি নেই বরং মানবতার ব্রত নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। তারা হলেন—বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থী ওয়াসিফ ঝন্টু, অনুপ, হাবিবুর রহমান, রিকি মেহেদী, ওম সাগর, আকাস ও সুলতান।
এ বিষয়ে ওয়াসিফ ঝন্টু জানান, লকডাউনের কারণে ওদের খাবারের উৎসগুলো বন্ধ হয়ে আছে। পুরো ক্যাম্পাস ফাঁকা পড়ে আছে। আমরা ১৫-১৬ জন ছাত্র আর ক্যাম্পাসের অতন্দ্র প্রহরী অনেকগুলো কুকুর ও বিড়াল ছাড়া আর কিছুই নেই। রুমের সামনে দেখি অনেক বিড়াল ও কুকুর আসে প্রায়ই। রান্নার সময় দুই পট চাল বেশি দিতাম। খাওয়া শেষ হলে একটু ঝোল আর আলু ভাতের সঙ্গে মাখিয়ে খাওয়াতে থাকলাম। রুমের সামনের কুকুর বিড়ালগুলো মোটামুটি খেতে পাচ্ছে। প্রতিদিন বাজার থেকে আসার সময় গেটের সামনে, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের কুকুরগুলো আমার হাতের খাবারের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকতো। খাদ্যের যোগান দিতে এগিয়ে এসেছেন মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম এ মান্নান, অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল হক বেগসহ কিছু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে আনোয়ারুল হক বেগ বলেন, এক এলাকার কুকুর অন্য এলাকায় ঢুকতে পারে না। এটা তাদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। তাই লকডাউনের শুরু থেকে ক্যাম্পাসের ভেতরের কুকুর, বিড়ালগুলো খাদ্য সংকটে পড়ে। ওয়াসিফ জন্টু, অনুপ, হাবিব, মেহেদিসহ যারা খাবার সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে, এটাকে সাধুবাদ জানাই। আমার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করেছি, অনেক শিক্ষকরাও অনুদান দিয়েছেন। ওদের বলেছি এ কার্যক্রম ক্যাম্পাস খোলা পর্যন্ত চালিয়ে যেতে।
কেআই/