ভুলে ভরা ‘নড়াইল কোরবানির হাট’ ওয়েবসাইট
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:১২ এএম, ২৫ জুলাই ২০২০ শনিবার
করোনা সংকটের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ‘নড়াইল কোরবানির হাট’ নামে মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করা হলেও রয়েছে নানা অসঙ্গতি। প্রতিমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসকের নাম থেকে শুরু করে সাধারণ বানানগুলোও ভুলে ভরা। নড়াইল কোরবানির হাট (https://narailqurbanirhaat.com) ওয়েবসাইট ভিজিট করলে সহজেই তা চোখে পড়বে।
এখানে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির নামের বানান ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা লেখা হয়েছে-‘আজমুমান আরা’ এবং প্রতিমন্ত্রীর নাম লেখা হয়েছে-‘জুনায়েড আহমেদ পলক’। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রী, ক্রীড়াবিদ, ভূমি, ব্যবস্থা, উদ্যোক্তা ও তরুণসহ বেশ কয়েকটি বানান ভুলভাবে ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে। গত ১০ জুলাই বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘নড়াইল কোরবানির হাট’ মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন।
আজ (শনিবার) পর্যন্ত এই ওয়েবসাইটে অসংখ্য ভুলই দেখতে পাওয়া যায়। জেলা প্রশাসন ও নড়াইল ভলান্টিয়ার্স এই ওয়েবসাইটি বাস্তবায়ন করেছে।
এদিকে, কোরবানির পশু কেনাবেচায় অনলাইনে এখন পর্যন্ত তেমন একটা সাড়া মেলেনি। ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে অনলাইনের চেয়ে কোরবানির পশুহাটে বেশি আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সদরের নাকসী মাদরাসা, মাইজপাড়া, কালিয়ার পহরডাঙ্গাসহ বিভিন্ন পশুহাটে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, অনলাইন পদ্ধতিতে গরু-ছাগল বেচাকেনা করে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। কারণ, এ পদ্ধতিতে আকার, আকৃতি, সুস্থতাসহ বিভিন্ন বিষয় স্বচোক্ষে দেখা যায় না। কোরবানির পশু সরাসরি দেখেশুনে কেনার অনুভূতিটাই অন্যরকম। তবুও করোনাকালে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে কেউ কেউ ঝুঁকছেন অনলাইনের দিকে।
এ বছর নড়াইলে কোরবানির জন্য ২৯ হাজার ৫৩২টি হাজার গরু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ৮০১টি গরু এবং ১০ হাজার ৭৩১টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। এবার কোরবানির ঈদে জেলায় ২৪ হাজার ৫০০ পশুর চাহিদা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মারুফ হাসান।
এআই//এমবি