করোনাক্রান্ত হয়ে ১২৮ দিন হাসপাতালে কাটিয়ে বেঁচে ফিরলেন যিনি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২০ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২০ শনিবার
ল্যারি ক্যালি এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের সবচেয়ে অসুস্থ রোগী হিসেবে বিবেচিত হন। ভর্তি হওয়ার একদিন পর কভিড-১৯ তার ফুসফুস নষ্ট করে দেয়ায় তাকে ভেন্টিলেটরে নেয়া হয়েছিল। তার খিঁচুনি হচ্ছিল এবং তার অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। হাসপাতালে ১২৮ দিনের মধ্যে তিনি ভেন্টিলেটরেই ছিলেন ৫১ দিন।
চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে ফেরেন। তিনি হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যক্ষ ক্যালি। গত মার্চ মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। তখন তিনি বলেছিলেন তার শীত লাগছিল। এরপর হাসপাতালে ভর্তির পর তার অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। তার বয়স ৬৪ বছর। খবর সিএনএন’র।
ল্যারি জানান, তিনি কোমাতে থাকাকালীন ফুসফুসে নিউমোনিয়া ছিল। চিকিৎসকরা তাকে শান্ত করার জন্য ফেন্টানেল (ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহূত শক্তিশালী ওষুধ) দিয়েছিল। তিনি ফেন্টানেলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলাম। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছিল এবং পুরো মস্তিষ্ক ঢেকে রাখা হয়েছিল।
ল্যারির স্ত্রী, মেয়ে ও ভাইকে হাসপাতালে ডেকে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। পরিবারকে বলা হয়েছিল ল্যারিকে শেষ বিদায় জানানো সময় এসেছে। তবে তার স্ত্রী চিকিৎসকদের ক্যালির শেষ টেক্সটের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। টেক্সটে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমি কখনই যুদ্ধ থামাব না।’
ক্যালি মনে করেন, পরিবারের সমর্থন ও চিকিৎসকদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে অবশেষে তিনি চোখ খুলে তাকিয়েছেন।
এমএস/