ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

রাজধানীর বিভিন্নস্থানে বাংলা নতুন বছর বরণে বর্ণাঢ্য আয়োজন

প্রকাশিত : ০৭:১৮ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০১৭ শুক্রবার

বাংলা নতুন বছর বরণে রমনা বটমূল ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ছিলো বর্ণাঢ্য আয়োজন। এ’সব অনুষ্ঠানে তরুণ-তরুণীর পাশাপাশি অংশ নেয় বিভিন্ন বয়সের মানুষ। সব বয়সী মানুষের সম্মিলনে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান রুপ নেয় গণমানুষের মিলনমেলায়। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ মানুষের মুখে ধ্বনিত হয় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়ার প্রত্যয়।
বাঙালীর সর্বজনীন উৎসব নতুন বছর বরণে রাজধানীতে ছিলো নানা আয়োজন।
শিশুমেলায় ঋষিজ শিল্প গোষ্ঠীর আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন দুই বাংলার শিল্পীরা।
বর্ষ বরণের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মানুষের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে কড়া জবাব বলে মনে করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা।
রমনার বটতলায় বসে লোকগানের আসর। আর বাংলার ঐতিহ্যবাহী নাচ, গান দিয়ে শুরু হয় রবীন্দ্র সরোবরের বৈশাখের অনুষ্ঠান।
বৈশাখের গানের তালে তালে শিশুদের নাচ বর্ষবরণের আনন্দ বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ।
বাংলা একাডেমিতে বৈশাখী গানের মাধ্যমে বরণ করা হয় নতুন বছর। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি একাডেমি প্রাঙ্গনে মেলার আয়োজন করা হয়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে ছিলো বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ পুতুল নাচ ও পুঁথিপাঠের আয়োজন করে জাতীয় প্রেসক্লাব।
কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য র‌্যালি। পরে পান্তা খাওয়ার মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয় বাংলা নববর্ষ।
তোপখানা রোডের চট্টগ্রাম ভবনে বাংলার লোক সংস্কৃতি ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রাম সমিতি।
রাজধানীর উদ্যানগুলোতে একটু নিরিবিলি পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে জড়ো হন অনেকে। চন্দ্রিমা উদ্যানে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ছিলো নানা অনুষ্ঠান।
টিএসসি আর অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মিলিত জন¯্রােত ঢেউ তোলে সোহরাওয়াদী উদ্যানেও। নাগরদোলা আর নানারকম আয়োজনে বাঙালী উদযাপন করে পহেলা বৈশাখ।