করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী বাল্যবিয়ে বাড়বে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৪ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২০ রবিবার
(ছবি- সংগৃহীত)
করোনার কারণে আগামী ২ বছরে ৪০ লাখ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দাতব্য প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ভিশন। এখনই উদ্যোগ না নিলে বাল্যবিয়ে বন্ধে অতীতের সাফল্য ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স ও ডয়চে ভেলে’র।
লকডাউনের কারণে জীবিকা কমে যাওয়ায় পরিবারের উপর নির্ভরতা কমাতে অনেকে তাদের মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দিতে পারেন বলে মনে করছে ওয়ার্ল্ড ভিশন। ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্মকর্তা এরিকা হল থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছেন, সংঘাত, দুর্যোগ কিংবা মহামারির সময় বাল্যবিয়ের সংখ্যা বাড়ে। তিনি বলেন, ‘এসব বিয়ে ঠেকাতে আমরা যদি এখনই কাজ শুরু না করি, তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য সংকট শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করে থাকতে পারি না।’
স্কুল বন্ধ থাকা এবং করোনার কারণে বিভিন্ন সংস্থা পুরোদমে কাজ করতে পারছে না বলে বাল্য়বিয়ের ঝুঁকি আরও বাড়ছে। প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। করোনার কারণে আগামী এক দশকে অতিরিক্ত আরও ১ কোটি ৩০ লাখ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতে পারে বলে গত মাসে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘ। বাল্যবিয়ে ঠেকাতে কাজ করা ১,৪০০’র বেশি সংস্থার বৈশ্বিক সংগঠন ‘গার্লস নট ব্রাইডস’ বলছে, তাদের সদস্য সংস্থাগুলো খুবই উদ্বিগ্ন।
গার্লস নট ব্রাইডসের প্রধান নির্বাহী ফেইথ মোয়াঙ্গি-পাওয়েল বলেন, ‘মাঠে যারা কাজ করছে তারা জানাচ্ছেন পরিস্থিতি ভালো ঠেকছে না। আমাদের মনে হচ্ছে আমরা সামনে অনেক বাল্যবিয়ে দেখতে পাব। ভারত, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা থেকে আমরা এসব শুনতে পাচ্ছি। কেউ বলছেন, বাল্য়বিয়ে ঠেকাতে গত কয়েক দশকে আমরা যত কাজ করেছি তা আবার ফিরে আসতে পারে।’ স্কুল বন্ধ থাকায় বিশেষভাবে চিন্তিত তিনি। তিনি বলেন, ‘স্কুল মেয়েদের রক্ষা করে। স্কুল যখন বন্ধ থাকে তখন বাল্যবিয়ের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।’
ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্মকর্তা এরিকা হল জানিয়েছেন, সাউথ সুদান, আফগানিস্তান ও ভারতে বাল্য়বিয়ে বাড়ার প্রমাণ তারা ইতোমধ্যে পেয়েছেন। তিনি বলছেন, পরিবারে সন্তানের সংখ্যা কমাতে মা-বাবারা মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তিনি বলেন, ‘এটা আসলে বেঁচে থাকার একটা কৌশল। বিদ্বেষ থেকে মা-বাবারা এটা করেন না- এছাড়া আসলে তাদের আর কোনো বিকল্প নেই।’
এমএস/