ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৯ ১৪৩১

চিকিৎসা করানোর নামে চাচার জমি লিখে নিলো ভাতিজারা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৭:৪১ পিএম, ২৬ জুলাই ২০২০ রবিবার

ভাতিজাদের প্রতারণার শিকার চাচা আঃ রশিদ ফরাজী।

ভাতিজাদের প্রতারণার শিকার চাচা আঃ রশিদ ফরাজী।

অসুস্থ হওয়ায় চিকিৎসার্থে হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে আঃ রশিদ ফরাজীর সহায় সম্পত্তি নিজেদের নামে লিখে নিয়েছেন তার মেজ ভাই আঃ জব্বার ফরাজী ও তার ছেলে মহাসিন, কবির ও খোকন ফরাজী। 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ছোটপরী গ্রামের মৃত সেকেন্দার ফরাজীর ছেলে অসুস্থ আঃ রশিদ ফরাজীর সাথে এ প্রতারণামূলক ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী সালেহা খাতুন।

অভিযোগে সালেহা বেগম উল্লেখ করেন, আমার স্বামী ৫ বছর ধরে দুই চোখে দেখেন না। ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আমার স্বামীকে চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে মোরেলগঞ্জ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়ে যায় তার ভাই ও ভাতিজারা। সেখানে দলিল লেখকদের দিয়ে আগে থেকে তৈরিকৃত দলিলে আমার স্বামীর স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। যার মাধ্যমে আমার স্বামীর পৈত্রিক ১১ শতক জমি তার ভাই আঃ জব্বার ফরাজীর ছেলে মহাসিন ফরাজী, কবির ফরাজী, খোকন ফরাজীর নামে কবলা মূলে লিখে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ টাকা। অতঃপর দলিলে স্বাক্ষর করার বিষয় কাউকে না জানানোর জন্যও চাপ প্রয়োগ করেন। আমার স্বামী প্রাণ ভয়ে কিছুদিন চুপ থাকলেও পরে বিষয়টি আমাদেরকে জানান। এক পর্যায়ে প্রতারণা করে জমি লিখে নেওয়া মহাসিন ফরাজী, কবির ফরাজী, খোকন ফরাজীও জমি দখলের জন্য উদ্ধত হন। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের পুরো পরিবারকে হুমকি-ধমকি দেওয়া শুরু করে। ওই জমিতে থাকা আমাদের বসত ঘরে আমরা এখনও বসবাস করে আসছি। কিন্তু তাদের ওই প্রতারণামূলক কবলা দলিলের জোরে আমাদেরকে এখন ঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছেন। নিজেদের প্রকৃত সম্পত্তি ভোগ দখল করতে পারি তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেছেন সালেহা ও তার সন্তানরা।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চকিদার আলী হোসেন বলেন, আঃ জব্বার ফরাজী ও তার ছেলে মহাসিন, কবির ও খোকন ফরাজী তার চাচা আঃ রশিদ ফরাজীর জমি প্রতারণা করে লিখে নিয়েছেন। আমরা স্থানীয়রা জমি ফেরত দিতে বললেও তারা শুনছেন না। বরং অসহায় পরিবারটিকে চাপ প্রয়োগ করছেন।

এনএস/