ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৯ ১৪৩১

এখনও পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ, খাদ্য সংকট চরমে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৭ এএম, ২৭ জুলাই ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১১:০৭ এএম, ২৭ জুলাই ২০২০ সোমবার

দেশের চলমান উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে এখনও পানিবন্দী কয়েক লাখ মানুষ। তবে খাবার, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন সংকটসহ নানা দুর্ভোগে বানভাসিরা।

অনেক স্থানে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন অনেকে। 

উত্তরে জেলা গাইবান্ধার নদ নদীর পানি কিছুটা কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ঘরবাড়ি ও রাস্তা ঘাট থেকে পানি এখনও নেমে যায়নি। দুর্গত এলাকার মানুষ পানিবন্দী জীবনযাপন করছে। ফলে গবাদি পশুর খাদ্য , খাবার পানি, পয়:নিস্কাশনের সমস্যা আরও চরম আকার ধারণ করেছে। 

যমুনার তীরবর্তী জেলা সিরাজগঞ্জে মাসব্যাপী দীর্ঘ স্থায়ী বন্যায় মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে। প্রতিদিনই পানি বাড়তে থাকায় জেলার বন্যা দুর্গত ৫টি উপজেলার মানুষের মাঝে বেড়েছে আরও দুর্ভোগ। প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষাধিক মানুষ এখন পানিবন্দী। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের অভাব।

টাঙ্গাইলের যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায ১১টি উপজেলার ৫৫৮টি গ্রাম ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ। 

সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। মানুষের ঘর বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও গ্রামীণ সড়কগুলো এখনও ডুবে আছে। ত্রাণ ও খাবার না পাওয়ার অভিযোগ গ্রামবাসীদের। 

এছাড়া, রাজধানীর পাশে গাজীপুরে তুরাগ ও বংশী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কালিয়াকৈর  উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৮৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে ফসল  ও সবজি ক্ষেত, মাছের পুুকুরসহ গ্রামের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। 

এআই/এমবি