ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

স্পেন ফেরতদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে যুক্তরাজ্যের নির্দেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৭ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১২:১৮ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২০ সোমবার

প্রাণঘাতি করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ইউরোপের দেশ স্পেনে। সম্প্রতি দেশটিতে আবারও প্রকোপ দেখা দিলে উদ্বগ্নি হয়ে পড়ে ইউরোপের দেশগুলো। এমন অবস্থায় দেশটি থেকে ফেরত নাগরিকদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। 

হাজারো প্রচেষ্টায় বর্তমানে করোনাকে কিছুটা বাগে আনতে সক্ষম হয়েছে বরিস জনসনের দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। গতমাসে তুলে নেয়া হয়েছে লকডাউন। নতুন করে যাতে অবস্থা সংকটের দিকে না যায় তাই এমন ব্যবস্থা নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

অবশ্য যুক্তরাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে স্পেন। খবর দ্য গার্ডিয়ানের। 

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ মানুষের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। প্রাণহানি ঘটেছে ৪৫ হাজার ৭৫২ জনের। 

অপরদিকে, স্পেনে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ সাড়ে ১৯ হাজার মানুষ এখন করোনার ভুক্তভোগী হয়েছেন। এর মধ্যে ২৮ হাজার ৪৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গত ৪৮ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত ও প্রাণহানি ঘটেনি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও ভারতে করোনা সংক্রমণ তীব্র আকার ধারন করেছে। প্রতিদিনই এ তিন দেশে গড়ে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। এছাড়া জার্মানি এবং ফ্রান্সে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে।
 
ব্রাজিলে গেল ২৪ ঘন্টায় ২৪ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৫ শতাধিক।

যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৪৩ লাখ ৭১ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে দেড় লাখের অধিক। 

এদিকে, কাসাব্লাঙ্কা, মেরাচেচসহ বড় শহরগুলোতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে মরক্কো। এসব শহরে প্রবেশ এবং বের হওয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, করোনায় যাদের অবস্থা গুরুতর নয়, তাদের দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে নেগেটিভ প্রমাণের প্রয়োজন নেই। 

বিশ্বে গত একদিনে ২ লাখ ২১ হাজার ২৬০ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার ৪৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। প্রাণ ঝরেছে আরও ৪ হাজার ৩০৩ জনের। এতে মৃতের সংখ্যা ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৭ জনে ঠেকেছে।

তবে, আশার কথা হলো, গত ২৪ ঘণ্টায়ও প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এতে করে মোট বেঁচে ফেরার সংখ্যা ১ কোটি ৪২ হাজার ৫০৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

এআই/এমবি