‘দক্ষিণ চীন সাগর চীনের উপকূলীয় সাম্রাজ্য নয়’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৯ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২০ সোমবার
(ফাইল ছবি)
নোভেল করোনা নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে তেতে উঠল চীন ও মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দক্ষিণ চীন সাগরে চীন বেআইনিভাবে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল আমেরিকা। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে তারা জানিয়ে দিল, দক্ষিণ চীন সাগরের ঐ বিতর্কিত এলাকা চীনের উপকূলীয় সাম্রাজ্য নয়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শনিবার টুইটারে লেখেন, ‘মার্কিন সরকারের নীতি জলের মতো পরিষ্কার। দক্ষিণ চীন সাগর চীনের উপকূলীয় সাম্রাজ্য নয়। বেজিং যদি এভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে থাকে এবং স্বাধীন দেশগুলি সে ব্যাপারে কিছুই না করে, ইতিহাস সাক্ষী চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আরও অনেক অঞ্চল দখল করে নেবে। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধ মিটিয়ে নিতে হবে।’
সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগর তিনটি দ্বীপপুঞ্জে বিভক্ত। তবে চীন গোটা দক্ষিণ চীন সাগরকেই নিজেদের সার্বভৌম এলাকা বলে দাবি করে। গত কয়েক বছর ধরেই সেখানে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছে বেজিং। কিন্তু মার্কিন সরকারের দাবি, বেআইনিভাবে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে গিয়ে চীন অন্য কয়েকটি দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে।
এ নিয়েই গত এক মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে। বেজিংকে চাপে রাখতে সম্প্রতি দক্ষিণ চীন সাগরে দুইটি রণতরীও পাঠান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে একটি আবার ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে যৌথ মহড়াও দেয়। বছরের শেষ দিকে মালাবার উপকূলেও ভারত-মার্কিন নৌমহড়া হওয়ার কথা।
এমএস/