ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রপ্তানি আদেশের ৮০ শতাংশ ফিরে পেয়েছে পোশাক খাত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০১ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:০৭ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

শ্রমিকদের নিরবিচ্ছিন্ন শ্রম, উদ্যোক্তাদের ক্রেতা-যোগাযোগ আর সরকারের প্রণোদনা ও নীতি সহায়তার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের তৈরি পোষাক খাতে। করোনা মহামারির মধ্যেও বাতিল হওয়া রপ্তানি আদেশের ৮০ শতাংশ ফিরে পেয়েছে এই খাত।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এমন প্রবণতা শ্রমিকদের জীবিকার নিশ্চয়তা দেবে, বাড়বে দেশের রপ্তানি আয়। 

করোনা মহামারির বিরূপ প্রভাবে স্থবির বিশ্ব অর্থনীতির চাকা। এই স্থবিরতা ছায়া ফেলে দেশের প্রধান তৈরি পোষাক শিল্পে। আগের বছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার কমে যায় রপ্তানি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি হয় দুই হাজার ৭৯৫ কোটি ডলার।

রপ্তানিতে ভাটা পড়ায় কারখানা বন্ধ হতে থাকে, বাড়তে থাকে বেকার শ্রমিকের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে রপ্তানি খাতের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষনা করে সরকার। করোনার ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চালু থাকে কারখানা।

সরকারের এই নীতিতে কাঙ্খিত ফল মেলে। ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দেয় রপ্তানি ধারায়।

মাইক্রো ফাইবার গ্রুপ এর পরিচালক (অর্থ) ড. কামরুজ্জামান কায়সার বলেন, আট বিলিয়ন ইউএস ডলারের অর্ডার বাতিল হয়ে গেলেও, সাড়ে ছয় বিলিয়ন ইউএস ডালারের অর্ডার এসেছে। এই অর্ডার ফেক্টরি চালু রাখার ক্ষেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। বড় বড় আন্তর্জাতিক ব্রান্ড গুলি আবারও এগিয়ে আসছে।  

রপ্তানির এই ধারা অব্যহত রাখতে সহায়তা বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের। 

বিজিএমইএ এর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ বলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে সার্বিক পরিস্থিতি বুঝা যাবে। সরকার যে সুবিধা দিয়েছে তা সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে গার্মেন্টস খাত ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।

এই রপ্তানির ধারাকে কল্যাণকর বলে প্রশংসা করেন অর্থনীতিবিদরা। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন বাজার খোঁজার তাগিদ দেন তারা।পরামর্শ দেন অনলাইন সক্ষমতা বাড়ানোর।

সিপিডি’র গবেষনা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জুলাই মাসের রপ্তানি পরিস্থিতি দেখে বুঝা যাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে যাচেছ। রপ্তানি বাড়াতে বন্দরে সময় ক্ষেপন কমানোর তাগিদ ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদদের।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন-


 
এসইউ/এএসি