ভারতে দু’সপ্তাহে শনাক্ত ৫ লাখ, মৃত্যু বেড়ে ৩৪ হাজার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১৭ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২০ বুধবার
ভারতে প্রায় দুই সপ্তাহে অর্থাৎ ১২ দিনে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মাঝে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শেষ এক সপ্তাহ প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের মাঝে করোনা শনাক্ত হয়ে আসছে দেশটিতে। এতে করে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণহানি বেড়ে হয়েছে ৩৪ হাজার। তবে, সুস্থতা লাভ করেছেন দুই তৃতীয়াংশ ভুক্তভোগী।
দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার ৫১৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৬৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। যার ষাট শতাংশই তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)।
অন্যদিকে গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ৭৬৮ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজার ১৯৩ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি প্রায় ৭৫ লাখ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই তামিলনাড়ু, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে, বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত।
এদিকে মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজারের বেশি মানুষ। এতে করে এ রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯১ হাজার ৪৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ১৬৫ জনের। গত ১৩ জুলাই থেকে এ রাজ্যে ১০ দিনের কড়া লকডাউন শুরু হয়েছে।
রাজধানী দিল্লিতে করোনার থাবায় প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৮৮১ জনের। আর ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৩২ হাজার ২৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট।
তামিলনাড়ুতে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ২৭ হাজার ৬৮৮ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ৩ হাজার ৬৫৯ জনের।
সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ২৮৬ জন ভুক্তভোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৯ জন ভুক্তভোগী। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৯ হাজার ৪৪৭ জন।
এআই/এমবি