ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৯ ১৪৩১

নবাবগঞ্জে কামারের দোকানে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৭:২৫ পিএম, ৩০ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার

পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র বাকি দুই দিন। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জের কামারেরাও। ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে দা-ছুরি, বঁটি, চাপাতির ব্যবসা। যেন দম ফেলারও সময় নেই তাদের। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করছেন তারা। টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছে এলাকার কামারপট্টিগুলো। তবে অন্যবারের তুলনায় বেঁচাকেনা কম বলে জানান কামাররা।
 
গত কয়েকদিন দোহার ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ছোট বড় প্রতিটা কামারের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। কারিগরদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে দা, ছুরি, চাপাতি তৈরিতে। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোহা এনে সেগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে তৈরি করছেন কুরবানির নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। সামনে কোরবানির পশু জবাই ও কাটাকাটির জন্য এসব জিনিসপত্র চাহিদা অনুযায়ী নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। 

করোনার কারণে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় এবং আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ যন্ত্রাংশের ছোয়ায় তাদের দুর্দিন চললেও ঈদকে সামনে রেখে চলছে এক ভিন্ন রকম দৃশ্য। কাজ না থাকায় অনেকে পেশা বদল করেছে তবে প্রতি বছরই ঈদ এলে আবারো ফিরে যান পুরানো পেশাতে। ঈদকে সামনে রেখে কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা পার করছেন ব্যস্ত সময়। 

দোহার নবাবগঞ্জের একাধিক কামার জানান, করোনা ও বন্যার কারণে এবার পশু কুরবানি অনেক কম। প্রতি বছরই কুরবানির ঈদে দা, বঁটি, ছুরি, হাঁসুয়া, চাপাতিসহ লোহার বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা বেড়ে যায়। কুরবানির ঈদকে ঘিরে ভালো আয়-উপার্জন করে থাকেন তারা। তবে এবার হতাশা ঘিরে ধরেছে। করোনা ও বন্যার কারণে একেবারেই বেচাকেনা নেই বললেই চলে। 

তারা আরো জানান, ‘লোহা ও কয়লার দামও বেশি। এই পেশায় আর আগের মতো লাভ নেই। তারপরও বাপ-দাদার এই পেশা ধরে রেখেছি। কোরবানির ঈদ এলেই ব্যবসাটা একটু ভালো হয়। কিন্ত এবার বেচাকেনা কম হওয়ায় লোকসানের শঙ্কা করছি।

তবে কামাররা এখনো আশায় রয়েছেন ঈদ এগিয়ে আসতে আসতে যদি বিক্রি কিছুটা বাড়ে। সেই লক্ষ্যেই থেমে না থেকে একের পর এক জিনিসপত্র তৈরি করে চলেছেন তারা।

এনএস/