ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হঠাৎ মাস্ক বিষয়ে কেনাে এতো সতর্ক আমেরিকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩২ এএম, ৩১ জুলাই ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৪৬ এএম, ৩১ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

শুরু থেকে ট্রাম্পের ছিল বেশ অনিহা। কোন রকম পাত্তাই দেননি তিনি। অথচ আমেরিকার প্রসিডেন্ট তিনিও বেশ সতর্ক হয়ে উঠেছেন মাস্ক পরা নিয়ে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে অর্থাৎ প্রতিনিধি পরিষদের সব সদস্য ও কর্মীদের মাস্ক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ এই নিয়ম অমান্য করলে তাকে চেম্বার থেকে বের করে দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। 

বুধবার টেক্সাসের রিপাবলিকান সদস্য লুই গোমার্ট করোনা ভাইরাস ‘পজিটিভ’ শনাক্ত হওয়ার পর পেলোসি এই সিদ্ধান্ত নিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। গোমার্টকে প্রায়ই মাস্ক ছাড়া ক্যাপিটল ভবনে ঘুরতে দেখা যেত। 

কিন্তু হঠাৎ কেনো এতো সতর্কতা? 

ডব্লিএইচও’র তথ্য অনুসারে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের দুটি প্রধান পথ হলো শ্বাস-প্রশ্বাস এবং শারীরিক সংযোগ। তাদের মতে, আক্রান্তের ড্রপলেট ছড়ানোয় বাধা তৈরি করতে পারে মাস্ক। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডা. মারিয়া ভ্যান কেরখোভে জানায়, করোনা রুখতে কাপড়ের মাস্ক পরতে হবে। কারণ এটি ভাইরাস রুখতে বেশি কার্যকরী।

বুধবার সন্ধ্যায় হাউস ফ্লোরে এক বক্তব্যে ন্যান্সি পেলোসি বলেন, চেম্বারে উপস্থিত অন্যদের এবং আশপাশের সবার স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কল্যাণের কথা মাথায় রেখে সদস্য ও কর্মীরা মাস্ক পরার নিয়ম মানবেন বলে আশা করছি। কেউ মাস্ক না পরলে তা শিষ্টাচারের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে।

তবে হাউসে বক্তব্য দেওয়ার সময় সদস্যরা মাস্ক খুলতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
সূত্র : বিবিসি
এসএ/