ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

করোনার এই সময়ে ঈদের নামাজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

করোনায় পুরো বিশ্ব এখনও নাকাল। এরই মধ্যে চলে এসেছে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসবের একটি কোরবানির ঈদ। যদিও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়ার অনুমোতি রয়েছে। তবে যেখানে লক ডাউন রয়েছে, অথবা কেউ কেউ অতিরিক্ত সতর্কতার করণে মাসজিদে যেতে নারাজ তাদের জন্য ঈদের সলাত কেমন হবে? এ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত। সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে ঘরে জামাতে (স্ত্রী, সন্তান, পরিবার নিয়ে) বা একলা ২ রাকাত সলাত (ঈদের সলাতের মত) পড়া যাবে। 

জেনে নিন কী করতে হবে?

বাড়ীতে ঈদের সলাতে আযান, ইকামত ও খুতবা দিবেন না। ঈদের সলাতের আগে ও পরে কোন সুন্নত সলাত নাই।

কারো ‘ঈদের সলাত ছুটে গেলে সে দু’ রা’কাআত সলাত আদায় করবে। নারীগণ এবং যারা বাড়ী ও পল্লীতে অবস্থান করে তারাও এরূপ করবে।

আনাস ইবনু মালিক (রা.) যাবিয়া নামক স্থানে তাঁর আযাদকৃত গোলাম ইবনু আবূ উত্বাকে এ আদেশ করেছিলেন। তাই তিনি তাঁর পরিবারবর্গ ও সন্তান সন্ততিদের নিয়ে শহরের অধিবাসীদের ন্যায় তাকবীরসহ সলাত আদায় করেন। আতা (রহ.) বলেন, যখন কারো ‘ঈদের সলাত ছুটে যায় তখন সে দু’ রাক’আত সলাত আদায় করবে। (বুখারী: ৯৮৭) 

ঈদের সলাতের পদ্ধতি :
সূর্য উঠার প্রায় ২০ মিনিট পর থেকে জুহুরের ওয়াক্তের প্রায় ১০মিনিট আগে পর্যন্ত ঈদের সলাত পড়া যাবেl ঈদের দিন আযান ও ইকামত ব্যতীত (ঈদের) সলাত পড়েন।

ঈদের সলাত ৩ ভাবে পড়া যেতে পারে। 
প্রথম নিয়ম :
প্রথম রাক‘আতে তাকবীরে তাহরীমা (আল্লাহু আকবার) ও  ছানা পাঠের পর ধীর স্থিরভাবে থেমে থেমে পরপর অতিরিক্ত ৭টি তাকবীর দিবেন হাত উঠিয়ে।

অতঃপর আঊযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহসহ ইমাম সরবে সূরায়ে ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়বেন এবং মুক্তাদীগণ চুপে চুপে কেবল সূরায়ে ফাতিহা পড়বেন।স্বাবাভিক সলাত মত রুকু সাজদা করে উঠে যাবেন।

অনুরূপভাবে ২য় রাক‘আতে দাঁড়িয়ে ধীরস্থিরভাবে পরপর ৫টি তাকবীর (হাত উঠিয়ে) দিবেন।তারপর কেবল ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ সহ সূরায়ে ফাতিহা ও অন্য একটি সূরা পড়বেন। এ সময় মুক্তাদীগণ চুপে চুপে কেবল সূরা ফাতিহা পড়বে। স্বাবাভিক সলাতের মত রুকু সাজদা, তাশাহুদ,দুরুদ পড়ে সালাম ফিরাবেন।

যদি পারেন সুন্নত হিসেবে প্রথম রাকাতে সূরায়ে ক্বাফ অথবা 'আ‘লা'এবং দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরায়ে ক্বামার অথবা ‘গা-শিয়াহ’ পড়বে’। অন্য সূরাও পড়া যাবে।প্রতি তাকবীরে হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠাবে ও বাম হাতের উপর ডান হাত বুকে বাঁধবে। অতিরিক্ত তাকবীর সমূহ বলতে ভুলে গেলে বা গণনায় ভুল হ’লে তা পুনরায় বলতে হয় না বা ‘সাজদাহ সহো’ লাগে না।

অথবা ২য় নিয়ম : 
তাকবীর তাহরীমার পরে প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত ৬ তাকবীর এবং ২য় রাকাতে ৫ তাকবীরে। 

অথবা ৩য় নিয়ম : 
তাকবীর তাহরীমার পরে প্রথম রাকাতে অতিরিক্ত ৩ তাকবীর এবং ২য় রাকাতে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত ৩ তাকবীরে। 

প্রথম নিয়মটি হাদীসে অধিক স্পষ্ট অর্থাৎ তাকবীর তাহরিমা অতিরিক্ত ১২ তাকবীর (প্রথম রাকাতে ৭, দ্বিতীয় রাকাতে ৫) 

তাকবীরের হাদিস :
আয়িশাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সলাতে রুকূ-সাজদাহর তাকবীর ব্যতীত অতিরিক্ত সাত ও পাঁচ তাকবীর দিতেন।’ (ইবনে মাজাহ : ১২৮০) 

একতা বজায়ের স্বার্থে যেখানে যত তাকবীরের জামাত প্রচলিত আছে সেখানে তাই পড়েন। 
এসএ/