ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

রামু হামলার ৫ বছর

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৩৭ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৭ মঙ্গলবার

কক্সবাজারের রামু’র, বৌদ্ধ মন্দির ও বসতবাড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলার ৫ বছর পার হলেও এখনও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা যায়নি। বিচার বিভাগীয় তদন্তে যারা শীর্ষ অপরাধী, পুলিশের চার্জশীটে তাদের নাম নেই। ঘটনার ব্যপকতা অনেক বেশি হলেও দোষীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, প্রকাশ্যে। প্রত্যক্ষ্যদর্শী’রা এখন আদালতে স্বাক্ষী দিতে, রীতিমত ভয় পায়। এমনকি, উদ্ধার করা যায়নি খোয়া যাওয়া শত শত বছরের বৌধ মুর্তিগুলো। 

২৯ শে অক্টোবর, ২০১২। কাল রাত। ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার আপত্ত্বি-কর পোস্ট দেওয়ার অজুহাতে, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালায় সাম্প্রদায়িক উগ্র-গোষ্ঠী। নিমিষেই জ্বলেপুড়ে ছাড়খার হয় ১৩টি বৌদ্ধ মন্দির এবং ৩০টি’রও বেশি বসত বাড়ি।

হারিয়ে যায় স্বর্ণ, ব্রঞ্জসহ বিভিন্ন ধাতুর তৈরী অসংখ্য মহামূল্যবান মুর্তি। মুছে ফেলা হয়, শত শত বছরের ঐতিহ্যকে। ক্ষতি কোন ভাবেই পূরনযোগ্য নয়, তারপরও এক বছরের মধ্যেই মন্দিরগুলো পূণনির্মান করেছে সরকার।

কিন্তু, সেই বিভিষিকাময় রাতের ক্ষত এখনও শুকায়নি। কারণ, ঘটনার ব্যপকতায় বিচার হয়নি দোষী কারোরই। হারানো সেই ঐতিহ্যকে এখনও হাতরে বেড়ায় ভাগ্য বিরম্বিত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষেরা। আর, পর্যটকরা বঞ্চিত হচ্ছে, পুরোনো পর্যটন স্পট না পেয়ে।

অসম্প্রদায়িক চেতনা বজায় রাখতেই, নিজেরা কোন মামলা- মোকদ্দমায় জড়ায়নি ক্ষতিগ্রস্তরা। অবশ্য, পুলিশ বাদী মামলা হয়েছে, ১৯টি। একটি আপোষ হয়েছে, বাকী ১৮টির অগ্রগতি নেই।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তদন্ত রিপোর্ট জমা হয়েছে। তবে মিল নেই, দুটির মধ্যে। সেসময়ে, অজ্ঞাত নামা ১৫/১৬ হাজার আসামী করা হয়েছিল। শেষে চার্জশীটে যে ৩শ জনের নাম এসেছে, সেখানে শীর্ষ অপরাধীদের বাদ দেওয়া হয়েছে কৌশলে। আর, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে হুমকি ও ক্ষতির শংকায় স্বাক্ষীরাও গুটিয়ে ফেলছেন নিজেদের।

অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার স্বার্থে ঘটনার জড়িতদেও বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

আরও দেখুন (ভিডিও)