ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

২৪ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণে রাজধানীতে ১৭ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:৪২ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

রাজধানীতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে- পুরাতন ছবি

রাজধানীতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে- পুরাতন ছবি

করোনাকালে রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য ১৭ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে ৭০০ যানবাহনের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন’র (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি) ব্যবস্থাপনায় রাজধানীর বর্জ্য অপসারণের কাজ করবেন। 

জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) সংশ্লিষ্ঠ এলাকায় পশু কোরবানির জন্য ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। পশুর বর্জ্য রাখার জন্য বিশেষ ধরণের ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। কোরবানি ঈদের দিন প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব বর্জ্য অপসারণ করা হবে। হালাল উপায়ে পশু কোরবানি করার জন্য ২৫০ জন ইমাম ও ২৫০ জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে ডিএনসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি) কর্মীসহ ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং ডিএনসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রস্তুত থাকবেন বলেও ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়। 

একই সঙ্গে বর্জ্য অপসারণের পর ১১টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে। 

গতকাল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে পাঠানে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির বর্জ্য সুষ্ঠু তদারকিতে নগর ভবনে একটি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এতে ডিএসসিসি’র বিভাগীয় প্রধানগণ ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন পরিক্রমায় দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে মাঠ পর্যায়ের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সচিত্র মনিটরিংয়ের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আরেকটি টিম গঠন করা হয়েছে। যারা ৭৫টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে সচিত্র বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবেন। এছাড়াও  বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে কন্ট্রোল রুমে হটলাইন চালু করা হয়েছে। ৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৫টি নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা হবে। এজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। ডিএসসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি) কর্মীসহ মোট ৬ হাজার জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করবেন।

একই সঙ্গে ১২টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে। ঢাকা দক্ষিণে কোরবানির প্রথম দিনে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে হবে বলেও জানানো হয়। বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় এক লাখ বিশেষ ধরণের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। 

এমএস/